যারা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙে, তাদের হাতে দেশ অনিরাপদ : তথ্যমন্ত্রী

| সোমবার , ১৯ জুন, ২০২৩ at ৫:১৭ পূর্বাহ্ণ

যারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমাননা করে, তাঁর ছবি ও ম্যুরাল ভাঙচুর করে, তাদের হাতে দেশ ‘নিরাপদ নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে, আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্যের ছবি ভাঙে, এখানে থাকা আমাদের মুক্তি আন্দোলনের পুরোধাদের ছবির প্রতি অবমাননা করে, সর্বোপরি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমাননা করে ছবি ও ম্যুরাল ভাঙে, তারাতো দেশটাই ভেঙে দেবে। তাদের হাতে তো কখনো দেশ নিরাপদ হতে পারে না। এরাই আবার দেশ পরিচালনার স্বপ্ন দেখে। খবর বিডিনিউজের।

গতকাল রোববার সকালে চট্টগ্রামের জামালখান মোড়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও ইতিহাসঐতিহ্যের ছবি ভাঙচুরের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের কাছে বিএনপির সমালোচনা করে এ কথা বলেন মন্ত্রী। আওয়ামী লীগের এই নেতার অভিযোগ, বিএনপির ‘তারুণ্যের সমাবেশে’ যাওয়ার সময় বঙ্গবন্ধুর সমস্ত ছবি এবং ম্যুরাল ভাঙচুর করা হয়েছে, সেই সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া অন্যান্যদের ছবিও ভাঙচুর করা হয়েছে। গত ১৪ জুন চট্টগ্রাম নগরীতে বিএনপির ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ চলার সময় জামালখান মোড়ে সড়কের পাশে দেয়ালজুড়ে বঙ্গবন্ধুর জীবনকর্মের আলোকচিত্র নিয়ে তৈরি ম্যুরাল ভাংচুর হয়। এই ভাংচুরের জন্য বিএনপির সহযোগী সংগঠন যুবদল, ছাত্রদলকে দায়ী করেছে ছাত্রলীগ। ভাংচুরের ঘটনায় ছাত্রদলযুবদলের মোট ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, ইতোমধ্যে মামলাও হয়েছে।

অন্যদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনের আগে বিএনপিকে ‘মাঠ ছাড়া’ করতে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সরকার ‘মিথ্যা মামলা’ দিচ্ছে। সে প্রসঙ্গ ধরে হাছান মাহমুদ বলেন, এর দায় দলটির নেতারা কোনভাবেই এড়াতে পারে না। যারা তাদের (ভাংচুরকারী) নেতা, যারা তরুণদেরকে এধরনের নৈরাজ্য শিক্ষা দিচ্ছে, এবং এগুলোর নেতৃত্ব দিচ্ছে, তারা দায় এড়াতে পারে না। তাদেরকেও অবশ্যই আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জামাততো ওদের সহোদর ভাই,… তারা একই বৃন্তে দুটি ফুল, বিএনপি আর জামায়াত। এটা উনাদের বক্তব্য। এই তারুণ্যের সমাবেশেও ছদ্মাবরণে জামায়াতশিবির ছিল। তবে মূল দায়টা বিএনপি নেতাদের।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন ও জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন জামালখান মোড়ে তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনগরের সব রিকশাকে লাইসেন্স নিতে হবে : মেয়র
পরবর্তী নিবন্ধসাপে কাটা ৬৫ ভাগ মানুষ প্রথমে যায় ‘ওঝা’র কাছে