যানজট কমাতে প্রয়োজন পার্কিং ব্যবস্থার আধুনিকায়ন : মেয়র

চসিক সিএমপি ও বিআরটিএর ত্রিপক্ষীয় সভা ।। আগ্রাবাদ এবং ওয়াসা মোড় থেকে ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ২৩ জানুয়ারি জরিপ, পরে একটি স্থানে পাইলট প্রকল্প চালুর প্রস্তাব

| শুক্রবার , ১৯ জানুয়ারি, ২০২৪ at ৫:৩৬ পূর্বাহ্ণ

যানজট কমাতে পর্যাপ্ত পার্কিংয়ের স্থান তৈরির পাশাপাশি পার্কিং ব্যবস্থার আধুনিকায়ন প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

গতকাল বৃহস্পতিবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে চসিক, সিএমপি এবং বিআরটিএর মধ্যে ত্রিপক্ষীয় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। সভায় বিট্র্যাক সলিউশন চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে পেপার্কিং চালুর বিষয়ে পাইলট প্রকল্পের রূপরেখা তুলে ধরে মেয়র রেজাউল বলেন, চট্টগ্রামকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রী বেশ কিছু বড় প্রকল্প গ্রহণ করায় চট্টগ্রামে গাড়ির সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভবিষ্যতের চট্টগ্রামকে ট্রাফিক জ্যাম মুক্ত করতে হলে প্রযুক্তিভিক্তিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা চালু করতে হবে। নগরীতে পার্কিংয়ের পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় অনেকে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করায় পর্যাপ্ত রাস্তা থাকা সত্ত্বেও নগরীর কিছু পয়েন্টে যানজট তৈরি হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানে আমি দীর্ঘদিন ধরে পেপার্কিং চালুর পক্ষে জনমত গঠনের চেষ্টা করছি। সংশ্লিষ্ট সবগুলো প্রতিষ্ঠানের মতামতের ভিত্তিতে প্রযুক্তিভিত্তিক পেপার্কিং চালু করা গেলে নগরীর যানজট অনেকটা কমে আসবে। আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকা এবং ওয়াসা মোড় থেকে ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ২৩ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) চসিক, সিএমপি এবং বিট্র্যাক সলিউশন যৌথভাবে জরিপ চালিয়ে যে কোনো একটি স্থানে প্রাথমিকভাবে পাইলট প্রকল্প চালুর প্রস্তাব উঠে আসে সভায়। চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, পেপার্কিংকে জনপ্রিয় করতে প্রয়োজনে গণবিজ্ঞপ্তি ও মাইকিং করে জনগণকে সচেতন করব আমরা। তিনি নগরীকে হকারমুক্ত করতে ‘নাইট মার্কেট’ চালুর প্রস্তাব দেন। চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক পেপার্কিং চালুর পাশাপাশি ব্যাটারি রিকশা নিয়ন্ত্রণ ও গণপরিবহন বিকেন্দ্রীকরণে সিএমপি এবং বিআরটিএ’র সহযোগিতা কামনা করেন। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) আবদুল মান্নান মিয়া চসিকের পেপার্কিং চালুর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, প্রকল্পের ক্ষেত্রে পার্কিং করা গাড়ির নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রকল্পের প্রয়োজেন আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে লোকবল নিয়োগ করতে হবে। বিআরটিএর পরিচালক শফিকুজ্জামান ভূঞা বলেন, নগরীতে পরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য রুট র‌্যাশনালাইজেশন করছে বিআরটিএ। একেক শ্রেণীর গাড়িকে একেকটি রুটের ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে নগরীতে জ্যাম হ্রাস পাবে। মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম বলেন, পেপার্কিং চালু হলে সেটি হবে চট্টগ্রামের জন্য এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। যানজট নিরসণে বেদখল হওয়া ফুটপাত উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট সবগুলো প্রতিষ্ঠানকে সাথে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে। সভায় চসিক, সিএমপি বিআরটিএ এবং বিট্র্যাক সলিউশন’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধতথ্য চুরির ম্যালওয়ারের বিস্তার, সতর্কতা জারি
পরবর্তী নিবন্ধবিয়ে অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনা, বাইক আরোহীর মৃত্যু