যাদের দেশে নির্বাচনের ফলাফলকে ভণ্ডুল করার জন্য সংসদে হামলা হয়, সেখানে ঘেরাও করে পুলিশ অফিসারসহ কয়েকজনকে হত্যা করা হয়, স্পিকারের চেয়ারে বসে ছবি তোলা হয় তারা অন্য দেশকে গণতন্ত্রের ছবক দেয়ার অধিকার রাখে কিনা প্রশ্ন রেখেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কদিন আগে গণতন্ত্র সম্মেলন হয়েছিল, সম্মেলনে পাকিস্তানসহ অনেককে দাওয়াত করা হল, কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিজেরই গণতন্ত্র আজ হুমকির সম্মুখীন। কারণ তাদের সংসদে যেভাবে হামলা ও কয়েকজনকে হত্যা করা হয়েছিল এমন ঘটনা কখনো বাংলাদেশে হয়নি।
গতকাল বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালামের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ পালিত ও জসিম উদ্দিন শাহ’র যৌথ সঞ্চালনায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. আতাউর রহমান। বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক মো মঈনুদ্দিন, মো. আবুল কালাম আজাদ, এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, স্বজন কুমার তালুকদার, আবুল কাশেম চিশতি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল আনোয়ার চৌধুরী বাহার, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম তালুকদার, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মো. আলী শাহ, আলাউদ্দিন সাবেরী, জাফর আহমেদ, প্রদীপ চক্রবর্ত্তী, নাজিম উদ্দিন তালুকদার, ইঞ্জিনিয়ার মেজবাহ উল আলম লাভলু, আবু তালেব, ব্যারিস্টার প্রিয়াংকা আহসান, আ স ম ইয়াছিন মাহমুদ, কার্যনিবাহী সদস্য ইফতেখার হোসেন বাবুল, মহিউদ্দিন আহমদ মঞ্জু, মো. সেলিম উদ্দিন, ফেরদৌস হোসেন আরিফ, আখতার হোসেন খান, গোলাম রব্বানী, বখতেয়ার সাঈদ ইরান প্রমুখ।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র, তাদের সাথে আমাদের বহুমাত্রিক সম্পর্ক রয়েছে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনেও তাদের সাথে আমাদের সহযোগিতা রয়েছে। তাই আমাদের বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ জানাব যারা এদেশের স্বাধীনতা চায়নি, এদেশের উন্নয়ন সমৃদ্ধি নিয়ে ঈর্ষান্বিত তাদের কথায় যেন তারা প্রভাবিত ও বিভ্রান্ত না হয়। সেটিই থাকবে স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে এসে মুজিববর্ষে আমাদের প্রত্যাশা।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ অনেক উন্নত রাষ্ট্রের চেয়েও জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে সফলতার সাথে মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পুলিশ-র্যাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আজকে তাদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে যেই নিষেধাজ্ঞা এটি আসলে জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদকে উস্কে দিচ্ছে, উৎসাহিত করছে।