দীর্ঘদিন মূল ক্যাম্পাসে ফেরার দাবি জানিয়ে আসছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের মুখে গত বৃহস্পতিবার চবি উপ–উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. শামীম উদ্দিন খান চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দেন। আশ্বাসের ভিত্তিতে তখন শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন স্থগিত করেন। এরপর স্থানান্তরের ব্যাপারে গত রোববার একাডেমিক কমিটির মিটিং হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পর্যাপ্ত শিক্ষক উপস্থিত না থাকায় সেই মিটিং না হওয়ায় আবার আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। শুধু মৌখিক আশ্বাসে সন্তুষ্ট নন শিক্ষার্থীরা। তারা লিখিত প্রজ্ঞাপন চান প্রশাসনের কাছে। প্রশাসনের সিদ্ধান্তের আলোকে দৃশ্যমান পদক্ষেপ না দেখলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে নগরীর বাদশা মিয়া সড়কের চারুকলা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে এমন হুঁশিয়ারি দেন তারা। শিক্ষার্থীরা বলেন, চারুকলাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ভূখণ্ডে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় প্রশাসনকে ধন্যবাদ। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত কেবল প্রতিশ্রুতিতেই ঝুলে থাকলে চট্টগ্রামের শিল্পাঙ্গন কখনোই স্বৈরাচারের দোসরদের কবল থেকে মুক্তি পাবে না। তারা তাদের প্রতিশ্রুতির বরখেলাপ করেছেন। আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের আর কোনো মৌখিক আশ্বাসে শান্ত থাকছি না। আগামী শীতকালীন বন্ধের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই কার্যদিবসের মধ্যে যদি চারুকলার প্রত্যাবর্তন বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি না হয় আমরা কঠোর পদক্ষেপে যেতে বাধ্য হব।
জানা গেছে, কয়েক দফা আন্দোলনের পর ১০ ডিসেম্বর থেকে তারা আবার আন্দোলন শুরু করেন। পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে চারুকলা ইনস্টিটিউটকে ক্যাম্পাসে ফেরানোর আশ্বাস দেন চবি উপ–উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন খান।