মোড়ে, বাজারে জটলা গলিতে আড্ডা

কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় সপ্তাহ

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ১০ জুলাই, ২০২১ at ৬:২২ পূর্বাহ্ণ

চলছে কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় সপ্তাহ। গতকাল সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার থাকায় রাস্তাঘাট ছিল অনেকটা ফাঁকা। তবে অলিতে-গলিতে দেখা গেছে উঠতি যুবকদের সরব আড্ডা। এদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ভেতরের অলি-গলি ও মোড়গুলোতে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দোকান খোলা রাখতে দেখা গেছে। তবে বিকাল ৫টার পর দোকান বন্ধ করতে কঠোর হয়ে উঠে পুলিশ সদস্যরা। গতকাল নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে, বিশেষ করে কাঁচাবাজারে মানুষের জটলা ছিল। সেখানে দেখা যায়নি স্বাস্থ্যবিধি বা সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার তাগিদ। তবে কোথাও কোথাও এমন ঢিলেঢালাভাব দেখা গেলেও লকডাউনের প্রথম দিনের মতো নগরীর প্রবেশ পথগুলোতে কঠোর অবস্থান নিতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে।
অন্যান্য দিনের মতো এদিনও নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এবং অলি-গলিতে রিকশার রাজত্ব দেখা গেছে। সিএনজি ট্যাঙি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় অনেক চালককে জীবিকার তাগিদে মোটর রিকশা নিয়ে রাস্তায় নামতে দেখা গেছে।
অপরদিকে সিএনজি ট্যাঙি না পেয়ে অসুস্থ রোগীদের নিয়ে তাদের স্বজনদের ভোগান্তিতে পড়তে দেখা গেছে। রিকশায় রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন অনেকেই। এদিকে রেয়াজউদ্দিন বাজার ও কাজির দেউড়ি কাঁচাবাজারের প্রবেশ পথে ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে টাঙানো ডিজিটাল ব্যানারে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বাজার খোলা থাকবে বলে জানানো হয়েছে। তবে এই বাজারগুলোর প্রবেশপথ ছাড়াও টেরিবাজার, হাজারী গলি, আসকারদীঘির পাড়, পাথরঘাটা ও কোতোয়ালীর মোড়ে মানুষের জটলা ছিল এদিন। করোনা সংক্রমণ রোধে অব্যাহত ছিল চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নিয়মিত অভিযান। গতকাল দিনব্যাপী জেলা প্রশাসনের ১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিভিন্ন স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছেন। এ সময় সরকারি বিধিনিষেধ মেনে না চলার কারণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৮০টি মামলা করেছেন তারা। পাশাপাশি দিয়েছেন অর্থদণ্ডও।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, নানা অজুহাতে লোকজন রাস্তায় বের হচ্ছেন। আমরা মানুষকে বোঝাচ্ছি, বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্য। আমরা মাস্ক দিচ্ছি, সচেতন করছি। এখন মানুষ যদি নিজে থেকে সচেতন না হয়, তাহলে তো পরিস্থিতি খারাপ হবে।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন আজাদীকে বলেন, চেরাগী পাহাড় থেকে খাস্তগীর স্কুল পর্যন্ত রাস্তায়-ফুটপাতে লোকজন বেশি ভিড় করছে। এটা নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের বেগ পেতে হচ্ছে। আমরা নিয়মিত লোকজনকে সরিয়ে দিচ্ছি। কিন্তু পুলিশ চলে গেলে আবারও ভিড় করছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইভ্যালির চেয়ারম্যান ও এমডির বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
পরবর্তী নিবন্ধপ্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা হয়ে গেল বাংলাদেশী!