মোমবাতি জ্বালিয়ে চলে যাওয়ার সময় বিএনপির ওপর হামলা

তাবিথ হাসপাতালে

আজাদী অনলাইন | শনিবার , ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৯:২২ অপরাহ্ণ

রাজধানী ঢাকার বনানীতে বিএনপির এক কর্মসূচি শেষে হামলায় আহত হয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতা সেলিমা রহমান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, তাবিথ আউয়ালসহ কয়েকজন।

তাদের মধ্যে তাবিথ আউয়ালকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার মাথা থেকে রক্ত ঝরতে দেখা গেছে।

জ্বালানি তেল, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং ভোলা ও নারায়ণগঞ্জের দলের তিন নেতা নিহত হওয়ার প্রতিবাদে রাজধানীতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল বিএনপি।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে বনানীর কাকলীতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের এই কর্মসূচি পালন করে। কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সড়কের এক পাশে মোমবাতি হাতে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন নেতা-কর্মীরা।

কর্মসূচি শেষে ফেরার পথে হামলা হয় জানিয়ে বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেন, “কর্মসূচি শেষ করে তাবিথ আউয়ালসহ নেতাকর্মীরা ফিরে যাওয়ার সময় পেছন থেকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। তাবিথসহ অনেকেই আহত হয়েছেন। তাবিথকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।”

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য তাবিথ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ছিলেন।

হামলায় আহত দলটির স্থায়ী কমিটর সদস্য সেলিমা রহমান এবং কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আলাল প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে দলটির নেতারা জানান।

বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের কোনো প্রতিক্রিয়া তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।

পুলিশে যোগাযোগ করা হলে বনানী থানার ওসি নূরে আজম মিয়া ইঙ্গিত করেন, বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণেও হামলা হতে পারে।

তিনি বলেন, “বিএনপির কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর তাদের ওপর হামলা হয়েছে বলে শুনেছি। কারা হামলা করল বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়েছে। তাদের নিজেদের কোন্দলে কোন ঘটনা ঘটল কী না সেটিও দেখা হচ্ছে।”

বনানীর এই কর্মসূচিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনও ছিলেন।

তিনি বক্তৃতায় বলেন, “দেশে আজ মানবাধিকার নাই, গণতন্ত্র হত্যা করা হয়েছে। দেশের অর্থনীতি আজকে ধ্বংসের কিনারায় চলে গেছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের নাভিঃশ্বাস উঠেছে। এসবের প্রতিবাদ জানাতে আমাদের এই নীরব প্রতিবাদী কর্মসূচি।”

মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, সদস্য সচিব আমিনুল হক, কেন্দ্রীয় নেতা শামা ওবায়েদ, নাজিম উদ্দিন আলম,শিরিন সুলতানা, এসএম জাহাঙ্গীর কর্মসূচিতে অংশ নেন।

নয়া পল্টনে দক্ষিণ বিএনপির কর্মসূচিতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “ভোলায় আমাদের নুরে আলম, আবদুর রহিম ও নারায়ণগঞ্জের শাওন প্রধান হত্যার প্রতিবাদ জানাতে, জ্বালানি তেল ও দ্রব্যমূল্যে ঊধর্বগতির প্রতিবাদ জানাতে আমরা মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করছি। এই মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে।”

এতে মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, আবদুস সালাম আজাদ, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, ফজলুল হক মিলন উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবান্দরবানে মিয়ানমার সীমান্তে ফের গোলাগুলি
পরবর্তী নিবন্ধ“মির্জা ফখরুল প্রমাণ করেছেন তারা পাকিস্তানের এজেন্ট”