সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি মূল্যে আলু বিক্রি করায় পতেঙ্গা স্টিল মিল বাজারের চার ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সংস্থাটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে গতকাল পরিচালিত অভিযানে এ জরিমানা করা হয়। এছাড়া বন্দর, ইপিজেড এলাকায়ও তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করে সংস্থাটি। এসময় মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যপণ্য ও ওষুধ বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করা, খাদ্যপণ্যে অনুমোদনহীন রং ব্যবহার, জিলাপিতে হাইড্রোজ ব্যবহারসহ বিভিন্ন অপরাধে চার প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠানকে ৪২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সবমিলিয়ে আট ব্যবসায়ীকে ৯২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসব অভিযানে নেতৃত্ব দেন বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ্, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) পাপীয়া সুলতানা লীজা ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকার নির্ধারিত ২৫ টাকার (পাইকারি) পরিবর্তে ৩৬ টাকায় আলু বিক্রি করায় পতেঙ্গা থানার স্টিলমিল বাজারের আতিক সবজি বিতানকে পাঁচ হাজার টাকা, মায়ের দোয়া স্টোরকে পাঁচ হাজার টাকা এবং সোলায়মান স্টোরকে ৪০ টাকায় আলু বিক্রি, মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করা, অনুমোদনহীন রং সংরক্ষণ করায় ৩০ হাজার টাকা এবং ৩৬ টাকায় আলু বিক্রি করায় জাহাঙ্গীর স্টোরকে ৩৬ টাকায় আলু বিক্রি করায় ১০ হজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, রং দেওয়া করমচা চেরি হিসেবে ব্যবহার, ছাপা সংবাদপত্রে খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ করায় বন্দর থানার নিমতলার সালমান হোটেলকে ১৫ হাজার টাকা এবং একই এলাকার জনসেবা ফার্মেসিকে মেয়াদবিহীন কাটা ওষুধ সংরক্ষণ করায় চার হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। স্টিল মিল বাজারের আলিশা ভাতঘরকে জিলাপিতে হাইড্রোজ (সোডিয়াম হাইড্রোসালফাইড) ব্যবহার করায় তিন হাজার টাকা জরিমানা করে হাইড্রোজ দিয়ে প্রস্তুত জিলাপি ধ্বংস করা হয়।
ইপিজেড থানার বঙ আলী মুন্সি রোড এলাকার জাহাঙ্গীর হোটেলকে রাস্তার পাশে খোলা অবস্থায় খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ, খোলা ময়লার পাত্রের পাশে রান্না করা খাবার সংরক্ষণ, ফ্রিজে কাঁচা মাছ-মাংসের সাথে ময়দার খামি সংরক্ষণ করায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।