মেসির প্রথম নাকি এমবাপের দ্বিতীয়?

স্পোর্টস ডেস্ক | রবিবার , ১৮ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৪:৫৫ পূর্বাহ্ণ

২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে যখন মুখোমুখি হয়েছিলেন লিওনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপে- তখন দুইজন ঘরোয়া ফুটবলে দুই দলে খেলছেন। এমবাপের বয়স তখন ১৯ বছর, মেসির ৩১। পিএসজির এমবাপে সেদিন জোড়া গোল করে হারিয়ে দিয়েছিলেন বার্সেলোনার মেসিকে। আগামী রোববার যখন কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ফাইনালে দুইজন মুখোমুখি হবেন তখন তারা ক্লাব সতীর্থ। আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্সের জার্সিতে মুখোমুখি অবস্থানে পিএসজির দুই মহাতারকা। এক এক করে চারটি বিশ্বকাপ পার করেও মেসির যেখানে বিশ্বজয়ের স্বপ্ন অধরাই থেকেছে, সেখানে প্রথম অংশগ্রহণেই বাজিমাত করেছেন এমবাপে।

২০১৭ সালে ফরাসি জার্সিতে অভিষেক হওয়ার পরের বছরই বিশ্বকাপ খেলে হাত ছোঁয়ান ট্রফিতে। মাত্র ১৯ বছর বয়সেই বিশ্বকাপ জেতা হয়ে গেছে তার। আর্জেন্টিনাকে শেষ ষোলো থেকে বিদায় করা ম্যাচে জোড়া গোল করা এমবাপে ফাইনালেও করেছেন লক্ষ্যভেদ। বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় হয়েও যে অর্জন নেই মেসির, সেটা চার বছর আগেই করে দেখিয়েছেন এমবাপে। এমবাপের সামনে এখন টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জয়ের হাতছানি। মেসির সামনে আক্ষেপ ঘোচানোর সুযোগ।

বিশ্বকাপের ৯২ বছরের ইতিহাসে দুটি দেশের আছে পরপর দুই আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কীর্তি। ১৯৩৪ ও ১৯৩৮ সালে ট্রফি জিতে প্রথম এ কীর্তি গড়েছিল ইতালি। ১৯৫৮ ও ১৯৬২ সালে ব্রাজিল। আজ রোববার লুসাইলে যদি কাপটা উঁচিয়ে ধরতে পারে এমবাপেরা তাহলে ইতালি ও ব্রাজিলের পাশে নাম লখাবে ফ্রান্স। এই বিশ্বকাপে লিওনেল মেসি নিজের মতো করেই খেলে আসছেন। তিনি কেন এ সময়ে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় সেটা তিনি প্রমাণ করেছেন কাতারে।

অনেকেই মনে করেন মেসির এখন শুধু কাপটা দুই হাতে উঁচু করে তুলে ধরাটাই বাকি। সৌদি আরবের কাছে হার দিয়ে বিশ্বকাপ শুরুর পর সেই যে মেসিদের জয়রথ ছুটছে সেটা ফাইনালেও অব্যাহত থাকবে বলেই প্রত্যাশা আর্জেন্টিনার সমর্থকদের। তবে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মরক্কোকে হারিয়ে ফ্রান্স ফাইনালে ওঠায় আর্জেন্টিনা জিতবেই-এ কথা জোর দিয়ে বলতে পারছেন না অনেকে। কাতার বিশ্বকাপের অন্যতম আলোচনায় ইনজুরি।

বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে তারকাদের ইনজুরিতে ছিটকে পড়ার মিছিলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দলের নাম ফ্রান্স। প্রথমে পল পগবা, পরে করিম বেনজেমা ছিটকে গেছেন ফ্রান্স দল থেকে। কন্তেরা তো গেছেন আগেই। সেই ফ্রান্স এখন ফাইনাল মঞ্চে। এটাই প্রমাণ করে ফরাসিদের স্কোয়াড কতটা শক্তিশালী। আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্সের ফাইনালে লড়াইটা মূলত মেসি ও এমবাপেরই। রোববার দুইজনের জ্বলে ওঠার ওপর নির্ভর করবে ১৯৮৬ এর পর আর্জেন্টিনা হাসবে নাকি চার বছর পর আবার ফ্রান্স। প্রথমবারের মতো ট্রফিতে হাত ছোঁয়াবেন মেসি নাকি দ্বিতীয়বার এমবাপে। ফয়সালা আজ রোববার লুসাইলে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআশা করি, বিশ্বকাপ জিততে পারব : আর্জেন্টাইন কোচ
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা