মেরামতের সমীক্ষা ফি নিয়ে চলছে দরকষাকষি

কালুরঘাট সেতু

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১৩ মে, ২০২২ at ৫:১৩ পূর্বাহ্ণ

পুরনো কালুরঘাট সেতুর ওপর দিয়ে কক্সবাজার রুটের ট্রেন চলাচলের উপযোগী করে তুলতে বুয়েটের সমীক্ষা ফি নিয়ে রেল ভবনে গতকালের বৈঠকে কোন সমঝোতা হয়নি। জরাজীর্ণ কালুরঘাট সেতুর ওপর দিয়ে আধুনিক ইঞ্জিন ও কোচ নিয়ে কক্সবাজারগামী ট্রেন চলাচল উপযোগী করে তোলার লক্ষ্যে সমীক্ষা চালানোর জন্য বুয়েট রেলওয়ের কাছে ১২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা প্রস্তাব দিয়েছিল। গতকালের বৈঠকে এই পরামর্শ ফি এর ব্যাপারে সমঝোতা হলে বুয়েটকে দায়িত্ব দেয়ার কথা ছিল। গতকালের বৈঠকে উভয় পক্ষের মধ্যে (রেলওয়ে এবং বুয়েট) টাকার অংক নিয়ে দরকষাকষি হয়েছে বলে বৈঠকে উপস্থিত রেলওয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তবে এই ব্যাপারে বুয়েটের সাথে আলোচনা চলছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা। বুয়েটের পরামর্শ অনুযায়ী সেতুটি মেরামত করা হলে আধুনিক ইঞ্জিন ও কোচ নিয়ে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালানো যাবে বলে জানান, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল লাইন প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এই ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিয়া আজাদীকে জানান, কালুরঘাট সেতুর ওপর দিয়ে কক্সবাজারগামী ট্রেন চলাচল উপযোগী করে তোলার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে বুয়েট যে রেইট দিয়েছে তা নিয়ে মিটিংয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।

বুয়েট সমীক্ষা ফি বাবদ যা প্রস্তাব করেছে তা কমানোর জন্য আমরা চেষ্টা করছি। এই ব্যাপারে বুয়েটের সাথে আলোচনা চলছে। তারা একটি প্রস্তাবনা দিয়েছে। সরকারি টাকা তো চাইলেই দিয়ে দিতে পারিনা। এ জন্য আলোচনা করে কমানোর চেষ্টা করছি। আলোচনার মাধ্যমে একটা সিদ্ধান্ত হবে।

রেলওয়ের সেতু প্রকৌশলী দপ্তর থেকে জানা যায়, জরাজীর্ণ কালুরঘাট সেতু দিয়ে আগামী ৫-৬ বছর (নতুন সেতু না হওয়া পর্যন্ত) কক্সবাজার রুটের উচ্চ গতির ট্রেন চলানোর জন্য বুয়েট বিশেষজ্ঞ দলের দেয়া প্রস্তাবনা অনুযায়ী সংস্কার করতে চায় রেল কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে লক্কর ঝক্কর পুরনো কালুরঘাট সেতু দিয়ে ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলছে কোন মতে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের দিকে কক্সবাজার রুটে পর্যটকবাহী এবং যাত্রীবাহী ও লোকাল ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এজন্য চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল লাইনের কাজ চলছে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে নতুন কালুরঘাট সেতুর কোন সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রকৌশল বিভাগ।

বর্তমান কালুরঘাট সেতু দিয়ে কক্সবাজার রুটে দ্রুতগতির ট্রেন চালানো একেবারেই অসম্ভব বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দল। একই কথা স্বীকার করেছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সেতু প্রকৌশল বিভাগের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা। তাই বাধ্য হয়ে রেল কর্তৃপক্ষ শতবছরের পুরনো কালুরঘট সেতু বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দলের দেয়া প্রস্তাবনা অনুযায়ী মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাবেক কাউন্সিলর মানিক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
পরবর্তী নিবন্ধরাঙামাটিতে সাবেক ইউপিডিএফ কর্মীকে গুলি করে হত্যা