মৃত ১০৪ শিশুর পরিবারকে ১৫ লাখ

ভেজাল প্যারাসিটামল

করে দেয়ার নির্দেশ | শুক্রবার , ৩ জুন, ২০২২ at ৪:১৪ পূর্বাহ্ণ

ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ সেবনের দুই ঘটনায় নিহত ১০৪ শিশুর প্রত্যেক পরিবারকে ১৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট; এ অর্থ পরিশোধ করতে বলা হয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে। এ সংক্রান্ত একটি রুলের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করে গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাই কোর্ট বেঞ্চ এক রায়ে এ নির্দেশনা দেয়।

১৯৯১ ও ২০০৯ সালের এ দুই ঘটনায় ক্ষতিপূরণ দেওয়া ছাড়াও রায়ে বলা হয়, ভেজাল ওষুধের কারণে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় ঔষধ প্রশাসন দায় এড়াতে পারে না। ক্ষতিপূরণের অর্থ সংশ্লিষ্ট কোম্পানি ও ব্যক্তিদের থেকে আদায় করতে অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভেজাল ওষুধ নিয়ন্ত্রণে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এমন অপরাধের ক্ষেত্রে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ ধারা অনুসরণ করে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

১৯৯১ সালে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাডফ্লেম ফার্মাসিউটিক্যালসের ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ সেবন করে ৭৬ শিশু মারা যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপর ২০০৯ সালে রীড ফার্মার ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ সেবনে আরও ২৮ শিশু মারা যাওয়ার অভিযোগে মামলা হয়। এ দুই ঘটনা নিয়ে ওই সময় প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদন যুক্ত করে ঘটনার দ্রুত বিচার নিষ্পত্তি এবং যথাযথ নির্দেশনা চেয়ে ২০১০ সালে হাই কোর্টে জনস্বার্থে রিট আবেদন করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)। এ রিট আবেদনের বিষয়ে তখন শুনানি শেষে রুল জারি করে সংশ্লিষ্টদের ব্যাখ্যাও নেয় আদালত। ইতোমধ্যে দুই মামলারই বিচারিক আদালতে রায় ঘোষণা হয়েছে।

এইচআরপিবির পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রিপন বাড়ৈ, এখলাছ উদ্দিন ভূইয়া, সঞ্জয় মণ্ডল। মনজিল মোরসেদ বলেন, আমরা আদালতে বলেছিনাগরিকদের মৌলিক অধিকার হল বেঁচে থাকার অধিকার, কিন্তু ভেজাল ওষুধের কারণে অনেককে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে। এ বিষয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ ধারায় ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান থাকলেও তা প্রায়ই কার্যকর হয় না। আদালত আমাদের ব্যাখ্যা শুনে আজকে একটি সুন্দর রায় দিয়েছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচবিতে ১০ শিক্ষার্থী পেলেন ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক দৈনিক আজাদী বৃত্তি
পরবর্তী নিবন্ধচাক্তাইয়ের ৬ আড়তদারকে জরিমানা, একটি সিলগালা