চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) একাডেমিক কাউন্সিলের ছয় পদের নির্বাচনে প্রশাসনপন্থী ও হলুদ দলের আরেক অংশের প্যানেলের ভরাডুবি হয়েছে। আওয়ামী–বামপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘হলুদ’ দলের তিনটি ভিন্ন ভিন্ন প্যানেল এ নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। যার মধ্যে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করেছে মূল হলুদ দল দাবি করা প্রশাসন বিরোধী শিক্ষকরা।
গতকাল রোববার সকাল নয়টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে চলে ভোটগ্রহণ। ভোট গণণা শেষে বিকেল পাঁচটায় ফলাফল ঘোষণা করা হয়। দুইজন করে সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক নির্বাচনে ছয় পদের মধ্যে প্রশাসনপন্থী প্রার্থীদের মধ্যে মাত্র একজন জয়লাভ করেছেন। বাকি ৫টি পদেই জয়লাভ করেছেন হলুদ দলের প্রশাসন বিরোধী প্রার্থীরা। অপরদিকে হলুদ দলের আরেকাংশ–প্রগতিশীল সাধারণ শিক্ষক সমাজের কেউই জয়লাভ করেননি। ছয় পদের বিপরীতে হলুদ দলের তিন প্যানেল থেকে মোট ১৮ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেন। এছাড়া দলীয়করণ করে শিক্ষক নিয়োগ চলমান থাকার অভিযোগে নির্বাচনে অংশ নেননি বিএনপি ও জামায়াতপন্থী শিক্ষকরা।
একাডেমিক কাউন্সিলের নির্বাচিতরা হলেন, সহযোগী অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে হলুদ দলের প্রার্থী ওশানোগ্রাফি বিভাগের মো. এনামুল হক নীল ও উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ড. তাপস কুমার ভৌমিক। সহকারী অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে হলুদ দলের প্রার্থী মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের আবদুল্লাহ আল মামুন ও নৃ–বিজ্ঞান বিভাগের তনিমা সুলতানা। প্রভাষক ক্যাটাগরিতে হলুদ দলের প্রার্থী বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের হাসনাইন ইস্তেফাজ ও হলুদ দলের (প্রশাসনপন্থী) ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিঙ ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তাহাসিন আহমেদ ফাহিম।