অর্থবহ সংলাপের সুপারিশ

মার্কিন প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল পাঁচ দফা সুপারিশ করেছে

আজাদী ডেস্ক | সোমবার , ১৬ অক্টোবর, ২০২৩ at ৪:২০ পূর্বাহ্ণ

আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও সংঘাতহীনভাবে আয়োজনে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রধান নির্বাচনী বিষয়গুলো নিয়ে খোলামেলা ও অর্থবহ আলোচনার সুপারিশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাকনির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল। গত সপ্তাহে বাংলাদেশে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ এবং বিভিন্ন দলের সঙ্গে বৈঠকের পর গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে মোট পাঁচ দফা সুপারিশ তারা করেছে। খবর বিডিনিউজের।

বক্তৃতাবিবৃতির ব্যাপারে সহনশীল হয়ে প্রধান নির্বাচনী বিষয়গুলো নিয়ে সংলাপ ছাড়াও আরও চারটি সুপারিশ রয়েছে সেখানে। সেগুলো হলো, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করে ভিন্নমতকে সম্মান জানানোর মতো নাগরিক পরিবেশ নিশ্চিত করা। সংঘাতহীন নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত করা এবং রাজনৈতিক সহিংসতায় জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় আনা। স্বাধীন নির্বাচন ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করা এবং অর্থবহ রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যাতে সব দল অংশ নিতে পারে, সেই পরিবেশ তৈরি করা। নাগরিকদের মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সক্রিয় রাজনৈতিক অংশগ্রহণের সংস্কৃতির প্রসার ঘটানো।

গত ৮১২ অক্টোবর ঢাকায় বিভিন্ন দলের সঙ্গে সংলাপ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাকনির্বাচনী পর্যালোচনা মিশন (পিইএম)। ওই দলে ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এবং ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) ছয় সদস্য। যৌথভাবে এই মিশনের নেতৃত্ব দেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক প্রাক্তন অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি কার্ল এফ ইন্ডাফার্থ ও ইউএসএআইডির সাবেক উপপ্রশাসক বনি গ্লিক।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশাপাশি সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী, রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশন, নাগরিক সমাজের পাশাপাশি বিভিন্ন বিদেশি মিশনের সঙ্গে বৈঠক করে প্রতিনিধিদল। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে প্রতিনিধিদলটি বিবৃতিতে বলেছে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দারিদ্র্য দূর করা এবং পরিবেশগত নেতৃত্বের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করেছে। অবশ্য রাজনৈতিক পক্ষাঘাতগ্রস্ততা এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্রমহ্রাসমান বিশ্বাস এই অগ্রগতির ওপর ছায়া ফেলছে এবং অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন গতিপথকে বাধাগ্রস্ত করার হুমকির মুখে ফেলছে।

বনি গ্লিক বলেন, অন্তর্ভুক্তি ও অংশগ্রহণমূলক অহিংস নির্বাচন আয়োজনে যারা বাংলাদেশের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ নিয়ে খোলামেলা মত প্রকাশ করেছেন, আমরা তাদের সকলকেই মূল্যায়ন করি। ওই আলোচনা থেকে আমরা নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ জানাচ্ছি। কিন্তু আমাদের সুপারিশগুলো সেই পরিবেশ উন্নয়নে সহায়ক হবে বলে আশা করছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘মূল’ হলুদ দলের নিরঙ্কুশ জয়
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে আরও ১শ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত