অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন রুটে বেতন–ভাতা ও মজুরি নিয়ে সৃষ্ট বিরোধ অবসানে শ্রম বিভাগের দেয়া সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন জাহাজ মালিকেরা। শ্রম দপ্তর থেকে মূল বেতনের ৬০ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত দেয়া হলে মালিকপক্ষ তাদের অপারগতার কথা জানিয়ে সভাস্থল ত্যাগ করেন। গতকাল বিকেল থেকে ঢাকায় ছয়ঘন্টা ব্যাপী ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বেতন– মজুরি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নতুন মজুরি ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করা না হলে ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে নৌযান শ্রমিকেরা কর্মবিরতি কর্মসূচি ঘোষণার হুমকির মুখে গতকাল বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। মালিকপক্ষ বৈঠকের সিদ্ধান্ত না মানায় অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন খাত আবারো অস্থিতিশীল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে গতকাল বিকেল ৩ টা থেকে শ্রম দপ্তরে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে শ্রম বিভাগ, বিআইডব্লিলউটিএ, নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়, লাইটারেজ জাহাজ মালিকপক্ষ, ডব্লিউটিসি এবং বাংলাদেশ নৌযান ম্রমিক ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। রাত নয়টা পর্যন্ত বৈঠক চলে। শ্রমসচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে শ্রমিকদের মজুরি বেসিকের উপর ৬০ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত দেয়া হলে মালিকপক্ষ অস্বীকৃতি জানিয়ে বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসে। তারা কোনো অবস্থাতেই এই সিদ্ধান্ত মানা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন। মালিকদের পক্ষ থেকে শ্রম, জ্বালানি এবং নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বৈঠক অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে বলা হয় সব জাহাজ একই সিরিয়াল ভুক্তকরে চলাচল এবং জ্বালানি তেলের ভুর্তকি নিশ্চিত করা হলেই কেবল শ্রমিক মজুরি বাড়ানোর ব্যাপারটি চিন্তা করা হবে। শ্রমিক নেতাদের পক্ষ থেকে বৈঠকের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে যে, নতুন এইসিদ্দান্ত কার্যকর হলে শ্রমিকেরা কোনরকমে বাঁচবে।