মুশতারী শফীদের কারণেই বিচার হয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২২ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৬:০৬ পূর্বাহ্ণ

শহীদ জায়া বেগম মুশতারী শফীকে আন্দোলন সংগ্রামের বাতিঘর হিসেবে আখ্যায়িত করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, শহীদ জননী জাহানারা ইমাম এবং চট্টগ্রামের বেগম মুশতারী শফীদের আন্দোলন সংগ্রামই ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের বিজয় সুনিশ্চিত করেছিল। মুশতারী শফীদের মতো মহিয়সী নারীরা এগিয়ে এসেছিলেন বলেই ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কার্যক্রম আলাদা একটি মাত্রা পেয়েছিল। যার জের ধরে আওয়ামী লীগের বিজয় এবং দেশ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে কলংকমুক্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, শহীদ জায়া বেগম মুশতারী শফী স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি একজন নিবেদিত প্রাণ মহিয়সী নারা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে তিনি জীবন চলার পথের পাথেয় করেছিলেন। তিনি বহু বই লিখেছেন, যেগুলোয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করা হয়েছে।
বেগম মুশতারী শফী চট্টগ্রামে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আহ্বায়ক এবং প্রধান সমন্বয়কারী ছিলেন। স্মৃতি রোমন্থন করে ড. ইফতেখার বলেন, শহরের এমন কোনো এলাকা নেই যেখানে আমরা মিটিং করিনি, প্রচারণা চালাইনি। তিনি সাহসিকতার সাথে আন্দোলন সংগ্রামে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলেন।
ঢাকায় ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির গণআদালতে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বেগম মুশতারী শফীর আন্দোলন সংগ্রাম আমাদেরকে শাণিত করত, উজ্জীবিত করত। তিনি আমাদেরকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা শোনাতেন, মুক্তিযুদ্ধের কথা শোনাতেন। নিজের অন্তর দিয়ে তিনি লালন করতেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। যে চেতনার সাথে তিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আপোষ করেননি। চট্টগ্রামে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক এবং প্রগতির আন্দোলন সংগ্রামে বেগম মুশতারী শফীর অবদান শ্রদ্ধার সাথে স্মরণযোগ্য।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজীবনযুদ্ধে হার না মানা এক আলোকবর্তিকা
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে আনা হলো মুশতারী শফীর মরদেহ