মুজিব-রশিদের স্পিনে ৬০ রানেই শেষ স্কটল্যান্ড

১৩০ রানের জয় দিয়ে শুরু আফগানিস্তানের

| মঙ্গলবার , ২৬ অক্টোবর, ২০২১ at ৬:২২ পূর্বাহ্ণ

প্রথম রাউন্ডে টানা তিন ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থাকা স্কটল্যান্ডের ব্যাটিং মুখ থুবড়ে পড়ল মূল পর্বে এসে। মুজিব উর রহমান ও রশিদ খানের স্পিনের জবাবই খুঁজে পেল না স্কটিশরা। দুর্দান্ত জয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করল আফগানিস্তান। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার সুপার টুয়েলভে দুই দলের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের জয় ১৩০ রানে।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে আফগানরা করে আসরের সর্বোচ্চ ১৯০ রান। স্কটল্যান্ড গুটিয়ে যায় কেবল ৬০ রানেই, এই সংস্করণে যা তাদের সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর। টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় জয় এটি। ২০১৩ সালে শারজাহতেই কেনিয়ার বিপক্ষে ১০৬ রানে জয় ছিল তাদের আগের রেকর্ড। খবর বিডিনিউজের।
ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ২০ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা অফ স্পিনার মুজিব। লেগ স্পিনার রশিদ স্রেফ ৯ রানে নেন ৪টি। ছক্কার ঝড়ে জয়ের ভিত গড়ে দেন মূলত ব্যাটসম্যানরা। ওপেনিংয়ে ৩৩ বলে ৩টি করে চার-ছক্কায় ৪৪ রান করেন হজরতউল্লাহ জাজাই। ৪ ছক্কা ও একটি চারে ৩৭ বলে ৪৬ রান রহমানউল্লাহ গুরবাজের। চারে নেমে নাজিবউল্লাহ জাদরান ৩৪ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় করেন ৫৯।
ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে আফগানিস্তান। প্রথম ওভারে ৬ বল খেলে জাজাই নিতে পারেন স্রেফ একটি সিঙ্গেল। পরের ওভারেই ওঠে ঝড়। অফ স্পিনার মিচেল লিস্ককে চার-ছক্কা মারেন জাজাই। মাঝে ছক্কায় ওড়ান মোহাম্মদ শাহজাদও। শাহজাদের উইকেট হারিয়ে পাওয়ার প্লেতে আফগানিস্তান তোলে ৫৫ রান। আসরে পাওয়ার প্লে-তে আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে যৌথভাবে যা সর্বোচ্চ। নাজিবউল্লাহ ফিফটি পূর্ণ করেন ৩০ বলে। ইনিংসের শেষ বলে বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় তার ৫৯ রানের ইনিংসটি। আফগানরা পায় বিশ্বকাপে তাদের সর্বোচ্চ রান।
বড় রান তাড়ায় প্রথম ওভারে মোহাম্মদ নবিকে পরপর চার-ছক্কা মারেন জর্জ মানজি। ৩ ওভারে স্কটল্যান্ড তোলে ২৭ রান। এরপরই পাল্টে যায় চিত্র। চতুর্থ ওভারে মুজিব পাঁচ বলের মধ্যে তুলে নেন ৩ উইকেট। অফ স্পিনারের গুগলিতে বোল্ড কাইল কোয়েটজার (১০)। ক্যালাম ম্যাকলয়েড ও রিচি বেরিংটন হন এলবিডব্লিউ। পরের ওভারে পেসার নাভিন উল হকের বলে উইকেটের পেছনে শাহজাদের দুর্দান্ত ক্যাচে বিদায় নেন ম্যাথু ক্রস। মুজিবের পরের ওভারে ছক্কা মারার পরই বোল্ড হয়ে যান মানজিও। স্কটল্যান্ডের রান তখন ৫ উইকেটে ৩৬। নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এই নিয়ে তৃতীয়বার পাওয়ার প্লেতে প্রতিপক্ষের পাঁচ উইকেট নিল আফগানিস্তান।
আক্রমণে এসেই রশিদ শিকার ধরেন লিস্ককে গুগলিতে এলবিডব্লিউ করে। নিজের কোটার শেষ ওভারে মার্ক ওয়াটকে বোল্ড করে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন মুজিব। বাকি তিন উইকেট নিয়ে রশিদ গুটিয়ে দেন স্কটল্যান্ডের ইনিংস। তাদের ৬০ রান বিশ্বকাপ ইতিহাসে নিউ জিল্যান্ডের সঙ্গে যৌথভাবে চতুর্থ সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশ্রমিক-কর্মচারীদের বাঁচাতে আন্দোলনের ডাক টিইউসির
পরবর্তী নিবন্ধপাকিস্তানের আরেকটি প্রতিশোধের মিশন আজ