যুদ্ধের সময় এবং অব্যবহিত পরে ভারতে ও বাংলাদেশে মুজিব বাহিনী B.L.F (Bangladesh Liberation Force) নামেও পরিচিত ছিল। ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরাই মুজিব বাহিনী বা ই.খ.ঋ–এর প্রশিক্ষণে সুযোগ পেত। নেতৃস্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল উত্তর প্রদেশের তেন্দুয়া (দেরাদুন) প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এবং সাধারণ কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল আসামের হাফলং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। দুই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রশিক্ষণ সূচিতে রাজনৈতিক বিষয়ে কিছুটা পার্থক্য ছিল। শেষের দিকে প্রশিক্ষণের জন্যে নেতা–কর্মী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে দুই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মধ্যে তেমন একটা ভেদাভেদ ছিল না।
এই দুই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ মুজিব বাহিনীর সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালিত হতো মেজর জেনারেল এস এস উবানের নেতৃত্বাধীন স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার্স ফোর্স এবং Research and Analysis Wing (R.A.W) এর তত্বাবধানে। জ.অ.ড– এর পক্ষে তোফায়েল আহমেদ, আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ মুজিব বাহিনীর মূল নেতাদের সাথে নিয়মিত ও কার্যকর যোগাযোগ রাখতেন জ.অ.ড– এর তৎকালীন প্রধান কর্মকর্তা রামেশ্বর নাথ কাউ। মুজিব বাহিনীর মুখপত্র হিসেবে ‘বাংলার বাণী’ নামে কলকাতা থেকে একটি পত্রিকা প্রকাশ করা হতো। তবে পত্রিকার ঠিকানায় লেখা থাকতো ‘মুজিব নগর’। তোফায়েল আহমেদের সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায়; ভারত সরকার তোফায়েল আহমেদের মাধ্যমে এ পত্রিকার ব্যয়ভার বহন করত। প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে তদারক করার জন্যে বহিঃসম্পর্কীয় মন্ত্রণালয়ের অধীনে এক সদস্যবিশিষ্ট একটি নীতি পরিকল্পনা কমিটি গঠন করেছিলেন। এ কমিটির চেয়ারম্যান–এর দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল ডি পি ধরকে। ভারত সরকারের পক্ষে মুজিবনগর সরকারের পাশাপাশি তিনি মুজিব বাহিনীর বিষয়েও তদারকির মূল দায়িত্বে ছিলেন।
তেন্দুয়া প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে দুই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো; অস্ত্রশস্ত্র প্রশিক্ষণ এবং রাজনৈতিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ। অস্ত্রশস্ত্র প্রশিক্ষণসূচির মধ্যে ছিল স্টেনগান, ভারতীয় সেলফ লোডিং রাইফেল (এস এল আর), লাইট মেশিন গান (এল এম জি), ৩ ইঞ্চি মর্টার, ঐ ঊ–৩৬ হ্যান্ড গ্রেনেড, পেন্সিল বোমা, চক–২ বিস্ফোরক দিয়ে বোমা তৈরি ইত্যাদি। এখানে অস্ত্রশস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ দিত মেজর জেনারেল এস এস উবানের নেতৃত্বাধীন স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার্স ফোর্স–এর সৈনিকরা। মুজিব বাহিনীর প্রশিক্ষণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ জুড়ে ছিল রাজনীতির বিষয়। প্রশিক্ষণ শেষে ভেতরে প্রবেশ করে কী ভাবে বিশ্বস্ত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতাদের সহায়তায় নিরাপদ শেল্টার গড়ে তুলতে হবে, কী ভাবে যুদ্ধের জন্যে সদস্য সংগ্রহ করতে হবে, সংগৃহীত যুবকদের কেন পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা প্রয়োজন, কী কারণে পাকিস্তানিদের শাসন থেকে পূর্ব–পাকিস্তানকে স্বাধীন করা প্রয়োজন ইত্যাদির পাশাপশি স্বাধীন বাংলাদেশ কী রকম রাষ্ট্র হবে তারও চিত্র তুলে ধরার বিষয়গুলো শিক্ষা দেয়া হতো। যেমন; স্বাধীন বাংলাদেশে পাকিস্তানের মতো শোষণ থাকবে না, বঞ্চনা থাকবে না, ন্যায় বিচার থাকবে, রাষ্ট্রের নীতি হবে ধর্ম নিরপেক্ষ ইত্যাদি বিষয়গুলোও শিক্ষা দেয়া হতো। হাফলং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বিষয় সূচিতে উপরোক্ত অস্ত্রশস্ত্রের প্রশিক্ষণও ছিল। এ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কেন্দুয়ার মতো রাজনীতির বিষয় এত প্রাধান্য পেত না। সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা স্বপন চৌধুরী ছিলেন রাজনীতি বিষয়ের একমাত্র প্রশিক্ষক। তিনি প্রশিক্ষণের শেষ সপ্তাহে কয়েক দিন রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেন। স্বপন চৌধুরী ছাত্রলীগের রাজনীতি করলেও ব্যক্তিগতভাবে তিনি ছিলেন সমাজতান্ত্রিক আদর্শের একজন চরমভাবাপন্ন অনুসারী। স্বাধীনতার পর জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় রাঙ্গামাটির একটি স্থানে মুজিব বাহিনীর এই সদস্যের দুঃখজনক মৃত্যু হয়।
তেন্দুয়ায় রাজনৈতিক প্রশিক্ষকদের বেশিরভাগই ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি। যেমন; কাজী আরেফ আহমেদ, আ. ফ. ম. মাহবুবুল হক, শরীফ নূরুল আম্বিয়া প্রমুখ। হাসানুল হক ইনু ছিলেন কেন্দুয়া প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান রাজনৈতিক প্রশিক্ষক। অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ দিতেন স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার্স ফোর্স–এর সৈনিকরা। চট্টগ্রাম সিটি কলেজের ছাত্রলীগ নেতা ফাহিম উদ্দিনও কেন্দুয়ায় প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি অস্ত্রশস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ দিতেন। ফাহিম উদ্দিন– এর মতো মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী যুবকদের মধ্য থেকে প্রায় বিশজন মেধাবি যুবককে তেন্দুয়ায় বাছাই করে ট্রেনার হিসেবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। এরা তৃতীয় ব্যাচের সময় থেকে প্রশিক্ষকের দায়িত্বে নিয়োজিত হন। এদের ট্রেনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পেছনে একটি কারণ ছিল। ফাহিম উদ্দিন– এর সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায়; স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার্স ফোর্স–এর সৈনিকরা প্রশিক্ষণ দানের সময় মুজিববাহিনীর প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীদের গালমন্দ করতেন, তাদের সাথে বেতনভুক্ত নিয়মিত বাহিনীর সদস্যদের মতো আচরণ করতেন। মুজিববাহিনীর সদস্যরা এমন অশালীন আচরণের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানালে স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার্স ফোর্স–এর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করেন এবং প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী বাংলাদেশী যুবকদের মধ্য থেকে বাছাই করে তাদেরকে প্রশিক্ষকের প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
তেন্দুয়া ও হাফলং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণের মেয়াদ ছিল একমাস। দুই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেই প্রশিক্ষক হিসেবে কর্নেল ওসমানীর নিয়ন্ত্রণাধীন কোনো বাহিনীর সদস্য ছিল না। দুই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করার জন্যে মুজিববাহিনীর আবদুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহাম্মদ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ পালাক্রমে যাওয়া–আসা করতেন। তেন্দুয়ার প্রশিক্ষক ফাহিম উদ্দিনের মতে এখানে চৌদ্দ কি পনেরো ব্যাচ পর্যন্ত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে। প্রতিদিন দুই শিফটে প্রশিক্ষণ চলত। প্রতি শিফটে প্রায় দেড়শো জন করে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করতো। মুজিব বাহিনীর প্রশিক্ষণ অক্টোবর মাস পর্যন্ত চলেছিল। ভারতে মুজিববাহিনীর বা B L F বাহিনীর প্রশিক্ষণ হয়েছিল শুধু উপর্যুক্ত ওই দুই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। প্রশিক্ষণ শেষে মুজিববাহিনীর সদস্যরা মুজিব বাহিনীর ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত আলাদা ট্রাঞ্জিট ক্যাম্পে এসে জড়ো হতো এবং সেখান থেকে দেশের ভেতর গ্রুপ নিয়ে প্রবেশ করতো।
মুজিবনগর সরকার পূর্ব পাকিস্তানকে সামরিকভাবে এগারোটি সেক্টরে ভাগ করলেও মুজিব বাহিনী সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানকে চারটি অঞ্চলে বা সেক্টরে ভাগ করেছিল। মুজিব বাহিনীর চারজন মূল নেতার নেতৃত্বে পরিচালিত হতো এ চার অঞ্চল। শেখ মণির দায়িত্বে ছিল্ত চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও সিলেট। শেখ মণির সদর দপ্তর ছিল আগরতলায়। তিনি এখানে ‘মনি দে,’ এই ছদ্ম নামে অবস্থান করে মুজিববাহিনী পরিচালনা করতেন। তোফায়েল আহমেদের দায়িত্বে ছিল পাবনা, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, ফরিদপুর, বরিশাল ও পটুয়াখালী। তার সদরদপ্তর ছিল কলকাতার ব্যারাকপুরে। তিনি এখানে ‘টি কে রায়’, এই ছদ্ম নামে মুজিব বাহিনীর নেতৃত্ব দিতেন। আবদুর রাজ্জাকের দায়িত্বে ছিল ময়মনসিংহ ও পাবনার অংশ বিশেষ(সিরাজগঞ্জ)। তার সদরদপ্তর ছিল মেঘালয় রাজ্যের ডালু–তে। তিনি এখানে ‘রাজেন্দ্র’ এমন এক ছদ্ম নামে মুজিববাহিনী পরিচালনা করতেন। সিরাজুল আলম খানের দায়িত্বে ছিল রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া তথা রাজশাহী বিভাগ। তার সদরদপ্তর ছিল পশ্চিম বঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট–এ। তার ছদ্ম নাম ছিল ‘সরোজ কুমার’। (সূত্র: তোফায়েল আহমেদ, সাক্ষাৎকার তানভীর মোকাম্মেল–এর মেগা ডকুমেন্টারি ফিল্ম ’১৯৭১”)
মুজিববাহিনী বা B L F – এর প্রশিক্ষণ নিয়ে চট্টগ্রাম শহরে প্রবেশ করা গেরিলাদলগুলোকে KC-1, KC-2 এ ভাবে নামকরণ করা হয়েছিল। KC বলতে বোঝানো হতো Karnaphuli Contingent বা কর্ণফুলী বাহিনী। ইঞ্জিনিয়ার হারুন গ্রুপ, ডা. মাহফুজুর রহমান গ্রুপ, ইঞ্জিনিয়ার আজিজ গ্রুপ প্রভৃতি গ্রুপ ছিল ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীদের নিয়ে মুজিববাহিনী বা B L F গ্রুপ। মুজিববাহিনীর এই যোদ্ধাদের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম নগর কমান্ড পরিচালিত হতো। চট্টগ্রাম শহরে মুজিববাহিনীর যোদ্ধারা প্রায়শ গ্রুপ হিসেবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করে এক গ্রুপের সদস্য আরেক গ্রুপের সদস্যের সাথে মিলেমিশে গেরিলা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। গ্রুপভিত্তিক চিন্তা বা শৃঙ্খলার চেয়ে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছিল এদের অপারেশন চিন্তায়। গ্রুপভিত্তিক অপারেশনের সময় এদের মাঝে B L F বা B D F (Bangladesh Force) যোদ্ধাদের নিয়েও কোনো ভেদাভেদ ছিল না।
অক্টোবর মাসের প্রথমার্ধ পর্যন্ত চট্টগ্রাম শহরে গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনায় নগর ছাত্রলীগের সভাপতি মৌলভী সৈয়দের নেতৃত্বে মুজিববাহিনী’র একচেটিয়া নেতৃত্ব ছিল অনিস্বীকার্য। অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের দিকে মুজিবনগর সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন ১নং সেক্টর হেডকোয়ার্টার থেকে চট্টগ্রাম নগর কমান্ডার হিসেবে ইঞ্জিনিয়ার আফসার উদ্দিন মোহাম্মদ আলিকে নিয়োগ দিলে চট্টগ্রাম শহরে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনায় ছাত্রলীগ ও মুজিবনগর সরকারের যৌথ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়।
স্বাধীনতা অর্জনের দীর্ঘকাল পরেও মুজিব বাহিনী বা B L F গঠন নিয়ে নানারকম অবাস্তব গল্প লক্ষ্য করা যায়। ২৬ মার্চ ২০১৯ তারিখ, The Daily Star পত্রিকা মেজর জেনারেল মো. ছরওয়ার হোছেইন–এর গ্রন্থ ‘১৯৭১ Resistance, Resilience and Redemption থেকে ‘The irregular forces of Bangladesh Liberation War’ শিরোনামে একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেছে। এতে এক জায়গায় তিনি লিখেছেন: ‘: It was around June 1971, when there was a gossip about the creation of C-in-C’s Special Force.. It might have been circulated deliberately and named as such to obtain C-in-C’s consent in support of creating this elite force about which Col. Osmani was neither critical nor aware that this force would later become Mujib Bahini.’
‘১৯৭১ সালের জুন মাসের দিকে প্রধান সেনাপতির সম্মতি আদায়ের উদ্দেশ্যে প্রধান সেনাপতির পদমর্যাদার সাথে মিল রেখে ঈ রহ ঈ’ং ঝঢ়বপরধষ ঋড়ৎপব নামে একটি সেরা বাহিনী গঠনের সংবাদ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে প্রচার করা হয়েছিল। অনুমোদন লাভের পরে এ বাহিনী কর্নেল ওসমানীর অজান্তে যখন মুজিববাহিনী হয়ে যায় তখন তিনি কোনো সমালোচনা না করে নীরবই ছিলেন।’
বাস্তবে ১৯৭১ সালে কর্নেল ওসমানীর সম্মতিতে, মুজিবনগর সরকারের সিদ্ধান্তে জুন মাসের দিকে C in Cs Special Force নামে একটি বাহিনী গঠিত হয়েছিল। এটি কোনো রটনা ছিল না। C IN Cs Special Force এর সাথে মুজিব বাহিনী বাB L F – এর প্রত্যক্ষে বা পরোক্ষে কোনো রকম সম্পর্কই ছিল না।
তথ্যসূত্র:
১. B L F প্রশিক্ষণ: তেন্দুয়ার প্রশিক্ষক : ফাহিম উদ্দিন–এর সাথে লেখকের সাক্ষাৎকার এবং B L F প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী ডা. . মাহফুজুর রহমান ও আহমদুর রহমান সিদ্দিকীর দেয়া তথ্য। হাফলং–এ প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী শ্রী অমলমিত্র।
২. তোফায়েল আহমেদ ও আবদুর রাজ্জাক–এর সাক্ষাৎকার্ত তানভীর মোকাম্মেল–এর মেগা ডকুমেন্টারি ফিল্ম “১৯৭১”। ৩। C in C Special Force সম্পর্কেC in C Special Force –এর প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী চট্টগ্রামের ফেরদৌস হাফিজ খান রুমু।