বাঁশখালীর সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। বঙ্গবন্ধুর ডাকে যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে আমাদেরকে স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন তাদের আসন আমাদের হৃদয়ে। একজন মুক্তিযোদ্ধাকে অবমাননা করা কোনোভাবেই সমর্থন করতে পারি না। গত ২৬ জুলাই বাঁশখালীতে একজন মুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ডা. আলী আশরাফ ইন্তেকাল করেন। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তিনি রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও গার্ড অফ অনার পাওয়ার কথা। কিন্তু কোরবানির গরু বাজার ও করোনা মহামারীর অতিরিক্ত দায়িত্বপালন করতে গিয়ে উপজেলা প্রশাসন যথাসময়ে উপস্থিত হতে কিছুটা বিলম্ব হয়। এতে করোনা সংক্রমণ রোধসহ ভিড় এড়াতে উপস্থিত লোকজন মরহুমের দাফন সম্পন্ন করে ফেলে। পরে উপজেলা প্রশাসন দেরীতে পৌঁছানোর কারণে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করে। অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিছু কুচক্রীমহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়ে বিভিন্ন প্রকার প্রপাগান্ডা ছড়ায় এই বলে যে, আমার নির্দেশে প্রশাসন গার্ড অফ অনার প্রদান করেনি। অথচ ওই সময় আমি করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় ছিলাম, কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলাম না। জেলা প্রশাসন এ ব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। প্রয়োজনে আরো তদন্ত করার দাবি করছি। অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনায় যদি কোন মুক্তিযোদ্ধা আমার উপর কষ্ট পেয়ে ভুল বুঝে থাকেন তাহলে আমি তাদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা প্রেস ক্লাবের তৃতীয় তলার মৌলানা আকরাম খাঁ হলে ষড়যন্ত্র ও হত্যার হুমকির প্রতিবাদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন– বাঁশখালী পৌর মেয়র মুক্তিযোদ্ধা শেখ সেলিমুল হক চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাধনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরী খোকা, কালীপুর ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাড. আ ন ম শাহাদাত আলম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, সরল ইউপি চেয়ারম্যান রশিদ আহমদ চৌধুরী, ছনুয়া ইউপি চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ, বৈলছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন, খানখানাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান বদরুদ্দিন চৌধুরী, শেখেরখীল ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইয়াছিন, এমপির ব্যক্তিগত সহকারী এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল, অ্যাডভোকেট রাহাদ চৌধুরী রণি, মিজান সিকদার, ফাহিম চৌধুরী, নাদিম প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।