আমাদের চট্টগ্রামের প্রিয়জন বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র ট্রাস্ট, চট্টগ্রাম ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য, চট্টগ্রাম একাডেমির জীবন সদস্য, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মৌলিক গবেষক, দৈনিক আজাদীর নিয়মিত কলাম লেখক, প্রাবন্ধিক সাখাওয়াত হোসেন মজনু ১লা মে ২০২১ না ফেরার দেশে চলে গেলেন (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন)।
সাখাওয়াত হোসেন মজনুর সাথে আমার প্রথম পরিচয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক ও সাপ্তাহিক অনুবীক্ষণ ও স্বাস্থ্য চিন্তা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমানের চকবাজারস্থ কার্যালয়ে। অনুবীক্ষণ পত্রিকায় আমি নিয়মিত লেখার চেষ্টা করতাম। সেখানে মজনু ভাই আমার লেখাগুলোকে নিজ হাতে সংশোধন ও পরিমার্জিত করে ছাপানোর উপযুক্ত করে দিতেন। তখন থেকেই মজনু ভাইয়ের সাথে সম্পর্ক। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম একাডেমিতে চট্টগ্রাম একাডেমি আয়োজিত প্রতি বছরের ‘স্বাধীনতার বইমেলায়’ মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা প্রদানের ক্ষেত্রে মজনু ভাইয়ের সম্পৃক্ততা, আমাদের মাঝে একটা মধুর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যে কোন আলোচনা সভায় আলোচক হওয়ার চাইতে আলোচনা সভার শ্রোতা হিসেবে পিছনে চুপচাপ গভীর মনোযোগ সহকারে আলোচনা শুনতে পছন্দ করতেন। মজনু ভাইয়ের সাথে শেষ দেখা ৫ মার্চ চট্টগ্রাম একাডেমি আয়োজিত আনন্দ ভ্রমণে।
কাপ্তাইয়ের ওয়াগ্গাছড়ায় বিশিষ্ট চা গবেষক ও প্রাবন্ধিক চট্টগ্রাম একাডেমির মহাপরিচালক আমিনুর রশিদ কাদেরীর চা বাগানে ছিল এ আনন্দ আয়োজন। সেখানে মজনু ভাই ও মর্জিনা ভাবীর হাস্যেজ্জ্বোল উপস্থিতি এখনো আমার চোখের সামনে ভাসছে। আমি ঠাট্টা করে লাইলী মজনু ডাকতাম। মজনু ভাই ও মর্জিনা ভাবী দু’জনে ছিলেন একই সূত্রে গাঁথা। সেই নীরব মানুষটি হঠাৎ করে না বলে না কয়ে সংবাদ হয়ে গেছেন। মজনু ভাইকে নিয়ে এতো তাড়াতাড়ি লিখতে হবে সেটি কোন দিন ভাবিনি।
বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমানের ফেইসফুক স্ট্যাটার্সে সত্যিকার অর্থে মূল্যায়ন করে বলেছেন, “আমার সহ আমাদের অনেক প্রিয়, বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের ট্রাষ্ট, চট্টগ্রাম ট্রাষ্ট্রি বোর্ডের সদস্য, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক সাখাওয়াত হোসেন মজনু হৃদরোগের কারণে আজ সকালে মারা গেছেন। মজনু ছিল মুক্তিযুদ্ধের একজন মৌলিক গবেষক। এলাকার যোদ্ধাদের কাছে, নির্যাতিতদের ঘরে ঘরে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতো।
১৯৯৩ সালে ট্রাষ্ট কর্তৃক প্রকাশিত “বাঙালির জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম” বইটির তথ্য সংগ্রহ, তথ্য যাচাই-বাচাই এ তাঁর ভূমিকা অনেক। চট্টগ্রামের বিশেষ করে চট্টগ্রাম শহরের বধ্যভূমি ও নির্যাতন কেন্দ্রের তথ্য সংগ্রহে তাঁর ভূমিকা ছিল বেশি। মুক্তিযুদ্ধের উপর তাঁর বেশ কিছু মৌলিক গবেষণা গ্রন্থ আছে। মজনুর মৃত্যুতে মুক্তিযুদ্ধের উপর গবেষণা কাজের দারুণ ক্ষতি হয়ে গেলো। মুক্তিযুদ্ধের সময় মজনু ছিল কিশোর। তখনো সে আমাদের হয়ে লিফলেট বিতরণ করতো, তথ্য সংগ্রহ করতো, আরো আগে পাকিস্তান আমলে ছিল আগ্রাবাদ স্কুল ছাত্রলীগের অন্যতম সংগঠক। তাঁর মৃত্যুতে গবেষণা কেন্দ্রের সবাই আমরা শোকাহত। মজনুর চলে যাওয়ায় আমাদের গবেষণা কাজের যে ক্ষতি হলো তা পুষিয়ে নেয়া আমাদের পক্ষে কঠিন হবে। মজনু ‘অনুবীক্ষণ’ ও ‘স্বাস্থ্য চিন্তা’ পত্রিকায় শুরুর দিক থেকে অনেক বছর জড়িত ছিল। এই দু’টি পত্রিকাও তাঁর কাছে ঋণী।
সাখাওয়াত হোসেন মজনু দেশের একজন বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক হিসেবে যেমন পরিচিত, তেমনি একজন নিষ্ঠাবান গবেষক হিসেবেও সমাদৃত। ১৯৫৭ এর ২০ শে এপ্রিল তাঁর জন্ম। পিতা বেলায়েত হোসেন ও মাতা হোসনে আরা বেগম। রাষ্ট্র বিজ্ঞানে এম.এ ডিগ্রীধারী ছিলেন তিনি। তাঁদের পূর্বপুরুষ ১৫২৬ খ্রীষ্টাব্দে এ উপমহাদেশে আসেন। মোগল সম্রাট বাবরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে তাদের কয়েকজন গৌড়, ত্রিপুরা হয়ে কুমিল্লার কয়েকটি স্থানে আবাস গড়ে তোলেন। একই বংশের কয়েকজন প্রায় দু’শ বছর পূর্বে চট্টগ্রাম শহরে স্থায়ী বসতি গড়ে তোলেন। মজনু ভাই আগ্রাবাদ স্কুলে ছাত্র থাকাকালীন সময় হতে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।
স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় তিনি ছিলেন এসএসসি পরীক্ষার্থী। ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে আগ্রাবাদ অঞ্চলে তাঁর সরব উপস্থিতি ছিল। ১ মার্চ ১৯৭১ থেকে অসংখ্য মুক্তিকামী মানুষের সাথে মিছিল, মিটিং এবং প্রতিরোধে কিশোরের মতোই কাজ করেছেন। বাদামতলী মোড়ে, ‘অস্ত্র বোঝাই জাহাজ সোয়াত’ প্রতিরোধে অংশ নেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে পুরো পরিবার আত্মগোপনে চলে যায়। মে মাসের পর থেকে মজনু ফিরে এসে রাজপথের বন্ধুদের সাথে মিলিত হন। যোগাযোগ হয় ডা. মাহফুজুর রহমান, তোহা গাজী, রাইসুল বাহার, গরীব উল্লাহ, মোহাম্মদ শফি মুন্সি এবং আরো মুক্তিযোদ্ধার সাথে। সে সময় ডা. মাহফুজুর রহমান মজনুকে কাজে লাগান। গোপনে প্রচার পত্রবিলি, ছোট অস্ত্র এবং এক্সক্লুসিভ তথ্য আদান প্রদানের জন্য। উত্তর নালাপাড়ার দেওয়ান সামশুন নাহার মুক্তিযোদ্ধাদের পাঠানো অস্ত্র, গোলাবারুদ, তথ্য সংরক্ষণ করেন। এ কাজে মজনু ছিলেন একান্ত সহযোগী।
মজনু ছোটবেলা থেকেই লিখেছেন। তবে পত্রিকার পাতার সাথে সখ্য ১৯৭৩ থেকে। চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক দেশবাংলার একজন কিশোর কর্মী হিসেবে ছোট ছোট সংবাদ লিখতে লিখতে সাখাওয়াত হোসেন মজনুর লেখার হাতেখড়ি। “দৈনিক গণকন্ঠ” পত্রিকার মাধ্যমে সাংবাদিকতার জগতে প্রবেশ। মাঝে কয়েক বছর শিক্ষকতার সাথে যুক্ত হয়ে পড়েন। স্বাধীনভাবে জীবন কর্মকে বেছে নিয়েছেন কলম ও কালির মাধ্যমে। ১৯৮৮ থেকে বাংলাদেশ মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে থেকে এবং মুক্তিযোদ্ধা গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমানের তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রাম অঞ্চলের তৃণমূলে মুক্তিযুদ্ধের তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেন। গবেষণার ক্ষেত্র হিসেবে তিনি চট্টগ্রামকে বেছে নেন।
চট্টগ্রামের প্রাচীন ও বহুল প্রচারিত ‘দৈনিক আজাদী’তে ১৯৮৯ থেকে “সাম্প্রতিক চট্টগ্রাম ও দৈনন্দিন টুকিটাকি” শিরোনামে নিয়মিত লিখছেন। ‘দৈনিক আজাদীর’ এ কলামটির কারণে সাখাওয়াত হোসেন মজনু চট্টগ্রামে লেখক ও কলামিস্ট হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম এবং বধ্যভূমি ও নির্যাতন কেন্দ্রে নিয়ে প্রচুর কাজ করছেন তিনি। নির্যাতন ৭১, রণাঙ্গণে সূর্যসৈনিক, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শহর, চট্টগ্রামের বধ্যভূমি ও নির্যাতন কেন্দ্র, মধ্যম নাথ পাড়া ও আব্দুর পাড়া বধ্যভূমি, মুক্তিযুদ্ধে আমার কৈশোর প্রভৃতি মৌলিক গবেষণামূলক, গবেষণা গ্রন্থ ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে।
মধ্যম নাথ পাড়া ও আব্দুর পাড়া বধ্যভূমি সহ অনেক বধ্যভূমির সন্ধানে মজনু ভাই সহ অনেকের সাথে আমিও জড়িত ছিলাম এবং মধ্যম নাথপাড়া ও আব্দুর পাড়া বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণে আমারও অংশীদার হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। সেটি আমার জন্য বিশাল গৌরবের। বীর মুক্তিযোদ্ধা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী মেয়র থাকাকালীন সময়ে ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম” নামে ১০ পর্বের একটি ডকুমেন্টরী সিনেমা করেছিলেন। সেখানে বর্ণিত ৪টি গ্রন্থের তথ্য উপাত্ত স্থান পেয়েছে।
ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামী ও শহীদ সৈয়দ নিসার আলী তিতুমীরের জীবন তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে ব্রিটিশ রাজ নিযুক্ত ও প্রকাশিত তিতুমীরের জীবন কাহিনীর বিপরীতে সাখাওয়াত হোসেন মজনু তাঁর স্ত্রী মর্জিনা আকতার তিতুমীরের জন্মস্থান পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হায়দারপুর গ্রামে যান। এ মহাবীর কি ভাবে কি উপায়ে ইংরেজ শাসক ও নীল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনী তৈরি করে নারকেল বাড়িয়ার বাঁশের কেল্লা নির্মাণ করে ৬ দিন ইংরেজ সৈন্যদের প্রতিরোধ করেছিলেন। সে সব তথ্য তাঁরা দু’জনে সংগ্রহ করেছেন। সে সময়ে হায়দারপুর, চাঁনপুর, টাকিপুরি, গোবরডাঙ্গা সহ এলাকায় এলাকায় ঘুরে প্রকৃত তথ্য উদঘাটনের জন্য কাজ করেছেন। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সে সময়ে তাদের সাথে আমার কলকাতায় দেখা হয়। আমিও পরিবার নিয়ে সে সময় কলকাতায় ছিলাম। মারকুইট ষ্ট্রিটে ট্রেনে আমাদের সাথে তাঁদের দেখা হয়। হোটেলে বসে সৈয়দ নিসার আলী তিতুমীরকে নিয়ে যে সব তথ্য সংগ্রহ করেছেন তা আমাকে শুনিয়েছেন এবং এবিষয়ে বিস্তর আলোচনা করেন। সম্ভবত গবেষণাধর্মী এ বইটি প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় শহর চট্টগ্রামের তৃণমূলের অবস্থা, মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় কেন্দ্র, গৌরবদীপ্ত অপারেশন, বধ্যভূমি, নির্যাতন কেন্দ্র, মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সহায়ক শক্তি মা-বোনদের গৌরবগাথা, ঘাতক বাহিনীর সহযোগী ও পাকিস্তান বাহিনীর দোসরদের তৃণমূলের তথ্য সংগ্রহের কাজ প্রায় শেষ করেছেন। দুই পাঠের প্রায় এক হাজার পৃষ্ঠার বিশাল গবেষণা গ্রন্থটি ছাপানোর অপেক্ষায় রয়েছে। এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ এর সার্বিক তত্তা্ববধানে এবং বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডা. হারুন অর রশিদের সম্পাদনায় প্রকাশিত “এনক্লোপেডিয়া অব বাংলাদেশ ওয়ার অব লিবারেশন” গ্রন্থের ১০ পর্বের মধ্যে সাখাওয়াত হোসেন মজনুর শহর চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের গবেষণা পর্বের অনেকগুলো অংশই স্থান পেয়েছে। গবেষণা ক্ষেত্রে “বাংলাদেশ মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্বীকৃতি ও সম্মাননা সাখাওয়াত হোসেন মজনুর জন্য বিশেষ বৈশিষ্টমন্ডিত। এ পর্যন্ত সাখাওয়াত হোসেন মজনুর ২৩টি মৌলিক গবেষণা ও সম্পাদিত গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের ও জীবনী গ্রন্থগুলো সমাজে চেতনার কথায় সমৃদ্ধ। গ্রন্থগুলোর প্রতিটি পরতে পরতে তাঁর স্ত্রী শিক্ষাবিদ, কবি, ছড়াকার, প্রাবন্ধিক ও উপস্থাপক মর্জিনা আখতারের আন্তরিক সহযোগিতার পরশ বিদ্যমান।
চট্টগ্রাম শহরের সুবিধা বঞ্চিত মুক্তিযোদ্ধা হতে শুরু করে পথ শিশু, মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে জড়িত সকলকে তিনি মানবিক সাহায্য করেছেন। সেবামূলক ও মানবকল্যাণে নিয়োজিত মানবিকগুণ সম্পন্ন মানুষটি ২০টির অধিক সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত থেকে মানব কল্যাণে কাজ করেছেন। নানামুখী কর্মকাণ্ডের কারণে ৮টির অধিক প্রতিষ্ঠান তাঁকে সম্মানীত করেছেন। চট্টগ্রাম কলেজ শিক্ষার্থী পরিষদের তিনি উপদেষ্টা।
অত্যন্ত ভদ্র, মৃদুভাষী, অসাম্প্রদায়িক চেতনার মজনু ভাই আজ আমাদের মাঝে নেই। সাধারণ ভালো মানুষ, পরোপোকারী মজনু ভাইকে চট্টগ্রাম একাডেমির আর কোন অনুষ্ঠানে দেখা যাবে না। হাসি মুখে সকলের পিছনের একনিষ্ঠ শ্রোতা হিসেবে তাঁকে বসে থাকতে আর দেখা যাবে না। চট্টগ্রামের এবং চট্টগ্রামের মুক্তিযুদ্ধের গবেষক হিসেবে আমরা আর দেখবো না।
দৈনিক আজাদীতে সাখাওয়াত হোসেন মজনুর আর কোন কলাম লেখা হবে না। যিনি সকলের জন্য লিখেছেন আজকে তাঁর জন্য কিছু লিখতে পেরে ধন্য মনে হচ্ছে নিজেকে। মজনু ভাই আপনি আমাদের সকলের মনের মণিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন। আপনি আপনার গবেষণা ও লেখনির মাধ্যমে শত শত বছর বেঁচে থাকবেন। আপনার সাথে অনেক পথ হেঁটেছি, অনেক পথ চলেছি, একই সাথে অনেক কাজ করেছি। আপনি আমাদের মাঝে প্রেরণাদায়ক শক্তি হিসেবে চিরকাল বেঁচে থাকবেন।
লেখক : প্রাবন্ধিক, সম্পাদক, শিল্পশৈলী