গণতন্ত্র ‘ফেরাতে’ অতি অল্প সময়ের মধ্যে দেশের জনগণ ‘মুক্তিযুদ্ধের মতোই আরেকবার জেগে উঠবে’ বলে আশা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল সোমবার বিকালে গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দুর্গা পূজা উপলক্ষে হিন্দু সমপ্রদায়কে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। খবর বিডিনিউজের।
ফখরুল বলেন, আজকে দেখুন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যে আমরা আন্দোলন শুরু করেছি, সেই আন্দোলনে কিন্তু লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষ যুক্ত হচ্ছে। অর্থাৎ সবাই চায় এদেশে গণতন্ত্র ফিরে আসুক, মানুষের অধিকারগুলো সুরক্ষিত হোক। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৮ হাজার মাইল দূর থেকেও তিনি যেভাবে আমাদেরকে নির্দেশনা দিচ্ছেন, যেভাবে দলকে পরিচালনা করছেন, যেভাবে বাংলাদেশের মানুষকে জাগিয়ে তুলছেন, আমরা সবাই বিশ্বাস করি যে, অতি অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ যেভাবে করেছিল, সেই ভাবেই জেগে উঠবে এবং ভয়াবহ যে অসুর সেই অসুরকে তারা পরাজিত করে সত্যিকার অর্থেই এদেশে একটা সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণ করবে। এই অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিএনপি মহাসচিব দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে বলেন, আমরা সবাই এখন যে বিপদে আছি, একটা সংকটে আছি, ভয়ংকর একটা সংকটে আছি। সেই সংকটটি হচ্ছে অস্তিত্বের সংকট, সেই সংকটটি হচ্ছে আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে রক্ষার সংকট, সেই সংকটটি হচ্ছে আমাদের গণতন্ত্রের সংকট। সেই সংকটকে কাটিয়ে উঠতে হলে আমাদের আন্দোলনের বিকল্প নাই।
স্বাধীনতার চেতনা ছিল আমাদের দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা, স্বাধীনতার চেতনা হচ্ছে প্রত্যেকটি মানুষের অধিকারকে সুরক্ষিত করা হবে, স্বাধীনতা চেতনা হচ্ছে সাম্য, মানবিক মূল্যবোধ ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা, একটা কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। সেটাই আজকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ফখরুল বলেন, বিএনপির মূল কথাটা ইনক্লুসিভ পলিটিঙ। যে সবাইকে নিয়ে হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলমান, খ্রিস্টান সবাই নিয়ে একটি জাতীয়তাবাদী… সেই জাতীয়বাদ হচ্ছে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ।
অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুকোমল বড়ুয়া, বিজন কান্তি সরকার, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির অমলেন্দু দাস অপু, জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, মিল্টন বৌদ্ধ, তুরন দে, সুশীল বড়ুয়া, অপর্ণা রায়, রমেশ দত্ত, দেবাশীষ রায় মধু, নিপুণ রায় চৌধুরী, প্রয়াত নেতা গৌতম চক্রবর্তীর স্ত্রী দিপালী চক্রবর্তী, সুকৃতি কুমার মণ্ডল উপস্থিত ছিলেন।