মিথ্যাচার ও ইতিহাস বিকৃতিই বিএনপির একমাত্র অবলম্বন

সমাবেশে আ জ ম নাছির

| সোমবার , ২৮ মার্চ, ২০২২ at ৫:৩৮ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ৭১’এর ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণার সবুজ সংকেত দিয়ে বলেছিলেন, আমি হুকুম দিবার নাও পারি তাহলেও যার যা কিছু আছে তা-ই দিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সেই ঘোষণা অনুযায়ী আমজনতা স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য তৈরি হচ্ছিল। এটাই হচ্ছে ঐতিহাসিক সত্য। এই সত্যকে যারা বিশ্বাস করে না তারা প্রকৃত অর্থেই স্বাধীনতার শত্রু। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে এসেও এরা এখনো নির্মূল হয়নি। তাই বঙ্গবন্ধুর ভাষায় বলতে চাই আমরা যদি হুকুম দিতে নাও পারি তাহলে যার যা কিছু আছে তা নিয়েই ইতিহাস বিকৃতকারী স্বাধীনতার শত্রুদের নির্মূল করতে হবে। তিনি গতকাল রোববার সকালে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের মাসব্যাপী স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচির অংশ হিসেবে কালুরঘাটস্থ বাংলাদেশ বেতারের ট্রান্সমিশন সম্প্রচার কেন্দ্রের সম্মুখে ইতিহাস বিকৃতকারী ও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির ঘৃণ্য অপচেষ্টার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত গণজমায়েতে সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন। গণজমায়েতে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বিএনপির কোনো রাজনীতি নেই। তাই মিথ্যাচার ও ইতিহাস বিকৃতি তাদের একমাত্র অবলম্বন, যা ভয়ানক অপরাধও। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জিয়া জীবদ্দশায় কখনো নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে দাবী করেন নি। ২৬শে মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণাটি প্রথম পাঠ করেছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা এম.এ হান্নান। এই ঘোষণাটি পাঠের পর তখন আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেয় যে, প্রতিরোধ যুদ্ধরত কোন সামরিক কর্মকর্তার মাধ্যমে ঘোষণাটি পাঠ হলে জাতি উজ্জীবিত হবে, তাই প্রতিরোধ যুদ্ধের রণাঙ্গন থেকে পলাতক মেজর জিয়াকে দক্ষিণ চট্টগ্রামের করলডাঙ্গা পাহাড় থেকে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ কালুরঘাটে নিয়ে আসেন এবং স্বাধীনতার ঘোষণাটি তার দ্বারা পাঠ করানো হয়। আসলে এটা ছিল প্রতিরোধ যুদ্ধের একটি রণ কৌশল। এটাই ইতিহাসের প্রকৃত সত্য। যদি ধরে নেওয়া যায় জিয়াউর রহমান ২৭শে মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন তাহলে বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন ২৬শে মার্চই রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করেছিল; ২৭শে মার্চ তো স্বাধীনতা দিবস পালন করেনি। আজ কেন বিএনপি ২৭শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালনের নাটক সাজাতে চায়? বিএনপি জামায়াত এদেশকে ২১ বছর পাকিস্তানি ভাবধারায় পরিচালিত করেছিল। তারা আবারও এদেশেকে পাকিস্তান বানানোর জন্য নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত গণজমায়েতে আরো বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দীন চৌধুরী, আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন, উপদেষ্টা আলহাজ্ব শফর আলী, সমাবেশে উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার মোজাফ্‌ফর আহমদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার গোলাম সরওয়ার দুলু, ডেপুটি কমান্ডার সৈয়দ আহমদ, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম ফারুক, দপ্তর সম্পাদক হাসান মাহমুদ শমসের, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, প্রমুখ।
সমাবেশ মঞ্চ থেকে আজসকালে দারুল ফজল মার্কেটস্থ মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সম্মুখে হরতাল বিরোধী সমাবেশ আহ্বান করা হয়। খবর প্রেস বিজ্ঞপ্তির।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিশ্বে শব্দ দূষণের শীর্ষে ঢাকা
পরবর্তী নিবন্ধআওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করেছে