মাহমুদা খানম মিতু খুনের মামলায় মিতুর দুই সন্তানকে (মাহির ও টাপুর) তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার মহানগর হাকিম মেহনাজ রহমানের আদালত এ আদেশ দেন। এজন্য সংশ্লিষ্টদের ১৫ দিনের সময় দেয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে তাদের দুজনকে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হাজির করতে হবে। আদালতের নগর পুলিশের প্রসিকিউশন শাখার একটি সূত্র আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সূত্রটি জানায়, মিতুর স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের বাবা ও চাচার প্রতি আদালত এ আদেশ দিয়েছেন। মিতুর মৃত্যুর পর থেকে বাবুল আক্তারের পরিবারের সাথেই ছিল মিতুর দুই ছেলে মেয়ে। এ সংক্রান্ত মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দিয়েছেন বলেও জানায় সূত্রটি।
গত ১২ মে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মিতু খুনের ঘটনায় বাবুল আক্তারকে আসামি করে তার শ্বশুর নতুন একটি মামলা দায়ের করেন। একপর্যায়ে বাবুল আক্তারকে এ মামলায় গ্রেফতারও দেখানো হয়। আগের দিন ১১ মে ঢাকা থেকে ডেকে নিয়ে বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নেয় পিবিআই। শ্বশুরের দায়ের করা সে মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড শেষে গত ১৭ মে বাবুল আক্তারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। বর্তমানে বাবুল আক্তার ফেনী কারাগারে রয়েছেন। ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নির্দেশে তাকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সেখানে স্থানান্তর করা হয়।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। এই ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয় তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। সে সময় বাবুল আক্তার দাবি করেন, জঙ্গিরাই তার স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করেছেন। পাঁচলাইশ থানায় করা উক্ত মামলায় ডিবি পুলিশ হয়ে মামলার তদন্ত কাজের দায়িত্ব পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। দীর্ঘ সময় তদন্ত শেষে গত ১২ মে গুরুত্বপূর্ণ এ মামলায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। যেখানে বলা হয়, বাবুল আক্তারই স্ত্রী মিতুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন।