উচ্ছেদে বড় অভিযানে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন

পাহাড়ে অবৈধ বসতি

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১৪ জুন, ২০২১ at ৬:১১ পূর্বাহ্ণ

বর্ষা মৌসুম আসলেই পাহাড় ধসের আশঙ্কা থাকে। বিষয়টি মাথায় নিয়ে পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদে বড় অভিযানে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন। পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটিই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেটির নেতৃত্বে রয়েছেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার। এদিকে কবে, কখন এ অভিযান পরিচালিত হবে সেটি স্পশষ্ট করে বলছেন না সংশ্লিষ্টরা। তবে জেলা প্রশাসনের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র আজাদীকে জানায়, আজ সোমবার বা আগামীকাল এ অভিযান পরিচালিত হতে পারে। পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস নিয়ে কয়েকদিন আগে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাজমুল আহসানের সাথে কথা হলে তিনি জানিয়েছেন, ১৪ জুন সোমবার পাহাড়ে বড় একটি অভিযান পরিচালনা করা হবে। নগরীর বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিংক রোডের দুই পাশে থাকা পাহাড়, মতিঝর্ণাসহ একাধিক পাহাড় থেকে সরানো হবে অবৈধ বসতিদের। জানা গেছে, চট্টগ্রামে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে প্রায় হাজারেও বেশি বসতি রয়েছেন। ভূমি দস্যুরা কোনো রকম ছাড়পত্র ছাড়াই পাহাড় কেটে তাদের বসতির সুযোগ করে দিয়েছেন।
এদিকে সুনিদিষ্ট কোনো তারিখ বা দিনের কথা এড়িয়ে নাজমুল আহসান গতকাল রোববার আজাদীকে বলেন, আমরা অভিযানে যাব। অবৈধ বসতিদের উচ্ছেদও করব। এটি পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের নেতৃত্বেই অভিযান পরিচালিত হবে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট থাকবেন। এছাড়া সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, পিডিবি, রেলওয়েসহ অনেকে উপস্থিত থাকবেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় থাকবেন র‌্যাব-পুলিশও। কতটি পাহাড়ে অভিযান পরিচালিত হবে, কতগুলো অবৈধ বসতি উচ্ছেদ করা হবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বেশ কিছু পাহাড়ে অভিযান চলবে। বড় সংখ্যক অবৈধ বসতি উচ্ছেদ করা হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সম্ভাব্য এ অভিযানে ৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তথা ছয়টি টিম মাঠে থাকবেন। ছয়ভাবে ভাগ হয়ে তারা পৃথক পৃথকভাবে অভিযান চালাবেন। জেলা প্রশাসন জানায়, ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়গুলো হচ্ছে, সীতাকুণ্ডের ত্রিপুরা পল্লী, সন্দীপ পাড়া আদর্শ গ্রাম, জঙ্গল সলিমপুর, ফয়েজ লেক এলাকার ঝিল ১, ঝিল ২, ঝিল ৩ নামের পাহাড় ও পলিটেকনিক এলাকার বেশ কয়েকটি পাহাড় ও বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিংক রোড এলাকার পাহাড়, বিশেষ করে বিজয় নগর, মধ্যম নগর, শান্তিনগর নামের পাহাড়, ডেবারপাড়, একে খান পাহাড়, লালখান বাজারের পোড়া কলোনি, একে খান পাহাড়, বায়েজিদ এলাকার মিয়ার পাহাড়, চট্টেশ্বরী রোডের টাংকির পাহাড়, ফরেস্ট হিল, বাটালি হিল ও লালখান বাজারের মতিঝর্ণা। জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ঝুঁকিপূর্ণ ১৮ পাহাড় খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে ৮ টি ব্যক্তি মালিকানাধীন ও ১০ টির মালিক সিডিএ, রেলওয়েসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থা।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে নগর, উপজেলায় ভারী বৃষ্টি হলে অতিঝুঁকিপূর্ণ ১৮টি পাহাড় থেকে প্রায় দেড়শ পরিবারের ৬শ মানুষকে নিরাপদে (আশ্রয়কেন্দ্রে) সরিয়ে নেয় জেলা প্রশাসন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামের হাসপাতালে জটিল রোগীদের ৮০% বেটা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত
পরবর্তী নিবন্ধমিতুর দুই সন্তানকে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হাজির করার নির্দেশ