মা-শিশুর নিরাপত্তায় প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারির বিকল্প নেই

চট্টগ্রাম পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে কর্মশালা

| সোমবার , ৭ মার্চ, ২০২২ at ৮:১০ পূর্বাহ্ণ

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) ইউনিটের উদ্যোগে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারী ও এনজিও সংস্থার সমন্বিত সেবা প্রদান বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালা নগরীর আগ্রাবাদস্থ বিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় এ কর্মশালার আয়োজন করেন।
বিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনা পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের এমআইএস ইউনিটের পরিচালক ও লাইন ডাইরেক্টর (এমআইএস) মো. শাহাদৎ হোসেন। রিসোর্স পার্সন হিসেবে কর্মশালা পরিচালনা করেন এমআইএস ইউনিটের উপ-পরিচালক এটিএম সানাউল্লাহ নূরী, ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. নাছের উদ্দিন ও সিনিয়র ডাটা কন্ট্রোল অপারেটর আবুল কাশেম।পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরাধীন চট্টগ্রাম বিভাগের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের ৪৫ জন কর্মকর্তা কর্মশালায় অংশ নেন। প্রধান অতিথি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস প্রচেষ্টায় পরিবার কল্যাণ সেবা অনেক দূর এগিয়ে গেছে। সরকারের পাশাপাশি স্বাস্থ্য সেবা প্রদান সংশ্লিষ্ঠ বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও এনজিও সংস্থাগুলো মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ, বাল্যবিবাহ রোধ, গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদেরকে পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেবা দিচ্ছে। বাসায় ডেলিভারি করলে শিশু ও মা দুজনেরই চরম ঝুঁকি থাকে। তাই মা-শিশুর নিরাপত্তায় প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারীর কোন বিকল্প নেই। সভাপতির বক্তব্যে বিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনা পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ সারা বছরই সেবা দিয়ে থাকে। যারা পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণ করছেন না, কিংবা অন্য পদ্ধতি গ্রহণ করছেন তাদের মা-শিশুর স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে সঠিক পরামর্শ দিতে সরকার সারাদেশে এ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। যারা পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সেবা নিতে আসছেন তাদেরকে এক প্রচার সপ্তাহে আরও বেশি উৎসাহিত করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সেবা নিতে টাকার বিনিময়ে টিকেট নিতে হয়, কিন্তু পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সেবা নিতে টিকেটের প্রয়োজন হয় না। পরিবার কল্যাণ কর্মীরা ঘরে গিয়েই মাদেরকে সেবা দিয়ে আসে। ১৮ বছরের উর্ধ্বে ৫০ বছরের নিচে সকল মহিলাকে সেবা দেয়া হচ্ছে। বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে ভূমিকা তা সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠান বা স্থাপনা বড় কথা নয়, এখানে এসে কতজন সেবা পাচ্ছে তা মূখ্য বিষয়। মা-শিশুর জীবনের ঝুঁকি এড়াতে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারীর বিষয়ে প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রাখতে হবে। স্বাস্থ্যসেবার অগ্রযাত্রায় সবাইকে সামিল হতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গড়তে হলে সুস্থ মা ও সন্তান অত্যন্ত জরুরি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবোমা হামলায় জড়িতদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি
পরবর্তী নিবন্ধহজ্বযাত্রী কল্যাণ পরিষদের দোয়া মাহফিল