মা-বাবা চান তাদের মেয়ে পড়াশোনা করুক। আর মেয়েটি চায় গার্মেন্টসে কাজ করতে।
মা-বাবার কথায় অভিমানে নগরীর শাহ আমানত সেতু থেকে কর্ণফুলী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেও সফল হয়নি নগরীর কাপাসগোলা হাইস্কুলের নবম শ্রেণির এই ছাত্রী।
তার আত্মহত্যা চেষ্টার বিষয়টি আঁচ করতে পেরে স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশকে খবর দেন। বাংলানিউজ
আজ সোমবার (১ নভেম্বর) বিকেল চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। কিশোরীর বাড়ি হাটহাজারীর গড়দুয়ারায়। পাঁচলাইশের উর্দু কলোনিতে দীর্ঘদিনের বসবাস তাদের।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বন্ধুরা বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। হঠাৎ একটি মেয়েকে শাহ আমানত সেতু থেকে লাফ দিতে দেখা যায়। পরে আমরা তাকে উদ্ধার করে ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করি।
জানা গেছে, নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই কিশোরী পড়াশোনা বাদ দিয়ে গার্মেন্টসে চাকরি করতে আগ্রহী কিন্তু বাবা-মা তাকে পড়াশোনা করতে বলে। এ নিয়ে তার সঙ্গে বাবা-মার কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সোমবার বিকেলে কর্ণফুলী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে সেতুতে বেড়াতে আসা লোকজন তাকে উদ্ধার করে ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে ঘটনাটি জানায়। পরে পুলিশ এসে কিশোরীকে থানায় নিয়ে যায়।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ বলেন, “কিশোরীটিকে উদ্ধার করে থানায় এনেছি। পড়াশোনা করতে বলায় সে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল। পরে আমরা তাকে বুঝিয়ে বাবা-মার হাতে তুলে দিয়েছি।”