বাংলাদেশের শিক্ষানীতিতে নতুন বাস্তবায়িত সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার ও শনিবার। এটি শিক্ষাবিদদের দীর্ঘদিনের দাবি। ছাত্র–ছাত্রী এবং শিক্ষকদের মানসিক প্রশান্তির জন্য এটি ভালো দিক। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েও একই প্রক্রিয়ায় শুক্রবার ও শনিবার বন্ধ রাখা হয়েছে।
ফলে তাদের পরীক্ষার রুটিন হয়ে পড়েছে চাকরিজীবীদের জন্য সাংঘর্ষিক এবং কিছুটা কঠিন। যেহেতু শিক্ষা জীবনের একটি স্তর শেষ করে শিক্ষার্থীদের বড় অংশ চাকরিতে প্রবেশ করে। ফলে মাস্টার্স শিক্ষার্থীদের জন্য অফিস থেকে ছুটি নেওয়া বসকে ম্যানেজ করা এমনিতেই কঠিন।
তারপরে অফিসিয়াল রুলস অনুযায়ী টানা চারদিন সাধারণ ছুটি নেওয়া যায় না। সর্বোচ্চ তিনদিন ছুটি নেওয়া যায়। কিন্তু মাস্টার্স রুটিন করা হয়েছে এমনভাবে বৃহস্পতিবার ও রবিবার। এতে টানা চারদিন ছুটির প্রয়োজন। ফলে বহু পরীক্ষার্থী দূর–দূরান্ত থেকে গিয়ে পরীক্ষা দিতে পারছে না।
তার চাকরি বাঁচানোর জটিলতার কারণে। করোনার প্রকোপে দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স ২০১৯–২০ এর পরীক্ষা। এতেও যদি শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে না পারে এটি তাদের মানসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
এবং চাকরি জীবনের প্রমোশনের ক্ষেত্রেও প্রতিষ্ঠানগুলোতে মাস্টার্সের বাধ্যবাধকতা থাকায় তারা পড়েছে উভয় সংকটে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে বিনীত অনুরোধ উনারা যেনো সপ্তাহে একদিন মাস্টার্স পরীক্ষা রাখেন।
এতে বিলম্বিত হলেও সবাই পরীক্ষা দিতে পারবে। শিক্ষার্থীরা যদি অংশ নিতে না পারে তাহলে তো সে পরীক্ষা আয়োজনে সার্থকতা নেই। দিনশেষে শিক্ষার্থীদের জন্যই তো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অন্যথায় বৃহস্পতিবার ও রবিবার যে পরীক্ষা রাখা হয়েছে তা যেনো বৃহস্পতিবার ও সোমবার বা মঙ্গলবার করা হয়।
এতেও ছুটি নিয়ে জটিলতা হয় না। আশা করি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আন্তরিকতার সাথে বিষয়টি বিবেচনা করবেন।
সিরাজুল মুস্তফা
চট্টগ্রাম।