মাস্টারদা সূর্যসেনসহ বিপ্লবীদের ভাস্কর্য স্থাপন করার দাবি

চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহ দিবসের অনুষ্ঠান

| শুক্রবার , ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ at ৬:৫৩ পূর্বাহ্ণ

বাংলার ইতিহাসে গৌরবগাথা কম নয়। কিন্তু প্রায় বিস্মৃতির অতলে চলে গেছে আমাদের জাতীয় জীবনের এক অমূল্য বীরত্বগাথা চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহ। সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজদের সমস্ত অহংকার চূর্ণ করে দিয়েছিলেন মাস্টারদা সূর্যসেনের নেতৃত্বে কয়েকজন তরুণ যোদ্ধা। দোর্দণ্ডপ্রতাপের ব্রিটিশ শাসনের ভারতবর্ষে চট্টগ্রামকে ৪দিন স্বাধীন করে রেখেছিল কয়েকজন অকুতোভয় বিপ্লবী। সেই ঘটনাকে সাড়ম্বরে উদযাপন করেছে বোধন আবৃত্তি পরিষদ, চট্টগ্রাম। গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘রাস্তা জুড়ে রোদ হোক’ শিরোনামে দ্বিতীয়বারের মত আয়োজিত যুব বিদ্রোহ উৎসবের শুরুতে যন্ত্র সংগীত পরিবেশন করেন দুর্জয় পাল ও প্রদ্যুৎ আচার্য। পরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বোধনের সহসভাপতি সুবর্ণা চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে অংশ নেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ, চট্টগ্রামের সভাপতি ডা. এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম, কবি কমলেশ দাশগুপ্ত, প্রীতিলতা ট্রাস্টের সভাপতি পংকজ ভট্টাচার্য। এসময় বক্তারা, চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহে যাঁরা নিজেদের উৎসর্গ করেছিলেন সেই মহান শহিদদের আদর্শকে তরুণদের সামনে তুলে ধরতে হবে উল্লেখ করে যুব বিদ্রোহের চেতনায় প্রগতিশীল সমাজ কাঠামো গড়ে তোলার আহ্বান জানান। যুব বিদ্রোহে অংশ নেয়া বিপ্লবীদের স্মরণে রাষ্ট্রকে আরো নানা উদ্যোগ নিতে হবে জানিয়ে সভায় বক্তারা দেশের বিভিন্নস্থানে মাস্টারদা সূর্যসেন, প্রীতিলতাসহ বিপ্লবীদের ভাস্কর্য স্থাপনের জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান। সাংগঠনিক সম্পাদক গৌতম চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন, অনুষ্ঠান সম্পাদক মৃন্ময় বিশ্বাস। দলীয় নৃত্য পরিবেশনায় ছিলেন নৃত্য নিকেতন ও মাধুরী নৃত্যকলা একাডেমি। দলীয় গানে অংশ নেন সংগীতালয়, উদীচী। একক আবৃত্তি পরিবেশনায় ছিলেন তাসকিয়া তুন নূর তানিয়া, মৌসুমী মৌ, পৃথা পারমিতা। কবিতা পাঠে অংশ নেন কবি ফারহানা আনন্দময়ী ও সারাফ নাওয়ার। বোধনের শিশু ও বড়দের বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় যুব বিদ্রোহ উৎসব। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘স্মার্ট শিক্ষায় স্মার্ট বাংলাদেশ’ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে চবি উপাচার্য
পরবর্তী নিবন্ধসরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কাজ করছে