মার্টিন লুথার কিং : অহিংস আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা

| সোমবার , ৪ এপ্রিল, ২০২২ at ৬:৩১ পূর্বাহ্ণ

মার্টিন লুথার কিং। বিখ্যাত কৃষ্ণাঙ্গ নেতা এবং মানবাধিকার কর্মী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী মার্টিন আমৃত্যু ছিলেন বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার, অহিংস পন্থায় মানুষের অধিকার আদায়ে নিবেদিত প্রাণ। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় অহিংস আন্দোলনের জন্য ১৯৬৪ সালে মার্টিন লুথার কিং নোবেল ৃশান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন। যত দিন বেঁচে ছিলেন নির্যাতিত মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য, সাদা-কালো নয় সব মানুষ সমান তার জন্য লড়েছিলেন। মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই করা এই বিখ্যাত মানুষটি ১৯২৯ সালের ১৫ জানুয়ারি আটলান্টার জর্জিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা মার্টিন লুথার কিং সিনিয়র, মা অ্যালবার্টা উইলিয়াম কিং। জন্মের সময় তাঁর নাম রাখা হয়েছিল মাইকেল লুথার কিং। পরবর্তীকালে তাঁর কিশোর বয়সে এই নাম পাল্টে তিনি নিজেই বাবার নামের অনুসারে নতুন নাম নির্বাচন করেন মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র ১৯৪৮ সালে সমাজতত্ত্বে ব্যাচেলর ডিগ্রি নেন মার্টিন। ১৯৫৫ সালে বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে ডক্টরেট মার্টিন ২৫ বছর বয়সে মন্টগোমারি উন্নয়ন সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। কৃষ্ণাঙ্গদের জন্য যানবাহনে আলাদা আসন ব্যবস্থার ঘোর বিরোধী ছিলেন তিনি। এর প্রতিবাদে মার্টিন আলবামায় অসহযোগ আন্দোলন পরিচালনা করেন এবং সুপ্রিম কোর্ট তাঁর পক্ষে রায় দেয়। বাবার বন্ধু মানবাধিকার নেতা, ধর্মতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ এবং শিক্ষক হাওয়ার্ড থারম্যান ছিলেন মার্টিনের আদর্শ। মার্টিন যখন বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তখন থারম্যানের মাধ্যমে মাহাত্মা গান্ধীর সাথে পরিচিত হবার সুযোগ পান। গান্ধীর অহিংস-অসহযোগ আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি গান্ধীর জন্মস্থান ভারত ভ্রমণে আসেন ১৯৫৯ সালে। তাঁর মধ্যে দৃঢ় বিশ্বাস জন্মায়, ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নিপীড়িত জনতার সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র অহিংস নীতি। আর অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমেই মার্টিন বৈষম্যবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন। ১৯৬৩ সালের ২৮ আগস্ট বিখ্যাত পদযাত্রা কর্মসূচিতে ওয়াশিংটন মেমোরিয়ালে সমবেত আড়াই লক্ষ লোকের এক বিশাল সমাবেশে মার্টিন এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন, যার শিরোনাম ছিল ‘আই হ্যাভ আ ড্রিম’। ১৯৬৮ সালের ৪ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসিতে আঁততায়ীর গুলিতে নিহত হন এই অবিসংবাদিত নেতা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএই দিনে
পরবর্তী নিবন্ধপুকুর শূন্যে পরিণত হচ্ছে চট্টগ্রাম বিভাগ