ঈদকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের মার্কেটগুলোকে নানারকম আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। ক্রেতা কাছে টানতে মার্কেট কর্তৃপক্ষের এই দৃষ্টিনন্দন আয়োজন।
নগর ঘুরে দেখা গেছে, নিউমার্কেট বিপণী বিতান, টেরীবাজারের প্রবেশ মুখ থেকে ভেতরের ছোট–বড় সবগুলো মার্কেট এবং বড় বড় ওয়ানস্টপ শপিং মলসহ রেয়াজুদ্দিন বাজার, তামাকুমন্ডি লেনের ভেতরে যতগুলো ছোট–বড় মার্কেট সবগুলো বর্ণিল সাজে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। একই সাথে নগরীর অন্যতম প্রধান
মার্কেট– জহুর হকার্স মার্কেট, বালি আর্কেড, কেয়ারি ইলিশিয়াম, সেন্ট্রাল প্লাজা, মিমি সুপার মার্কেট, আফমি প্লাজা, ফিনলে স্কয়ার, শপিং কমপ্লেঙ, স্যানমার ওশ্যান সিটি, ইউনেস্কো সিটি সেন্টার, আমিন সেন্টার, ভিআইপি টাওয়ার, আখতারুজ্জামান সেন্টার, সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেট এবং মতি টাওয়ার ও গুলজার টাওয়ারকে আকর্ষণীয় ভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে।
সন্ধ্যার পর নগরীর প্রধান প্রধান এই শপিং মল এবং ছোট–বড় মার্কেট গুলোর আলোকসজ্জায় শহরে যেন অন্য রূপ ভেসে ওঠে। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে যেমন লাল–নীল বাতির বর্ণিল সাজ রয়েছে, তেমনি রয়েছে ঈদের শুভেচ্ছা বার্তা সম্বলিত বর্ণিল তোরণ। মনোমুগ্ধকর আলোকসজ্জা দেখতে নগরময় ঘুরে বেড়াচ্ছেন
অনেকেই। যদিও এখনো মার্কেটগুলোতে কেনাকাটার ভীড় দেখা যায়নি। এই ব্যাপারে নগরীর টেরী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আহমদ হোসেন আজাদীকে বলেন, ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতাদের আকর্ষণের জন্য প্রতি বছরের মতো এবারও আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। বাজারের ছোট–বড়
সবগুলো মার্কেটকে দৃষ্টিনন্দনভাবে সাজানো হয়েছে। নগরীর অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে এখানে ক্রেতারা এক সাথে ঈদের সব পণ্যই পেয়ে থাকে। এজন্য ক্রেতাদের সর্ব প্রথম পছন্দের তালিকায় থাকে টেরী বাজার।
নগরীর ভিআইপি টাওয়ার, টেরী বাজার, সেন্ট্রাল প্লাজায় গিয়ে বিভিন্ন দোকানির সাথে কথা হলে তারা এই প্রতিবেদককে বলেন, এখনো পুরোদমে ঈদের কেটাকাটা শুরু হয়নি। আমরা ঈদে ক্রেতাদের চাহিদা পূরণে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে দোকান সাজিয়েছি। দেশী এবং বিদেশী সহ আইটেমই পাওয়া যাবে।
ক্রেতারা এখন কেনাকাটা না করলেও কোথায় কি কি পণ্য পাওয়া যাচ্ছে এবং দাম কত তা দেখছেন। এপ্রিলের ৫–৬ তারিখের পরে বেতন পেলে তখন কেনাকাটা পুরোদমে শুরু হবে। প্রতিবার ঈদ আসলে ক্রেতার আকর্ষণ বাড়াতে নানা আয়োজন থাকে নগরীর অভিজাত মার্কেটগুলোতে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য
হলো দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জা, কুপনে মোটরসাইকেল ও গাড়িসহ নানান উপহার। গত দুইদিন নগরীর অভিজাত শপিং মলগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে এসব মার্কেটের সম্মুখ ভাগের উপর থেকে নিচ পর্যন্ত ব্যতিক্রমী আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। এছাড়া দোকানে দোকানে এলইডি
লাইটিংয়ের মাধ্যমে আলাদা ডিসপ্লে তৈরি করা হয়েছে। তাতে ক্রেতাকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি মার্কেটের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হচ্ছে।
তবে এবার বিদ্যুৎ বিভাগ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত আলোকসজ্জা নিষিদ্ধ করা হয়নি। গত বছর ঈদের মার্কেটগুলোতে আলোকসজ্জা করাকে সরকারিভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়েছিল। যা এ বছর করা হয়নি। এজন্য এবার মার্কেটগুলোতে আলোকসজ্জায় নতুনত্ব আনা হয়েছে।