মার্কিন নির্বাচন সমাধান কি আদালতে

| শুক্রবার , ৬ নভেম্বর, ২০২০ at ৬:৫৪ পূর্বাহ্ণ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কারচুপি এবারের নির্বাচনে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুধু অভিযোগই নয়, আদালতের দ্বারস্থও হয়েছেন তিনি। বুধবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে তিনটি রাজ্যে ভোট গণনা বন্ধ করার দাবি নিয়ে আদালতে গিয়েছেন ট্রাম্প। প্রশ্ন হচ্ছে মার্কিন নির্বাচনে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে কি না? আদালত আদৌ এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে কিনা, তা শুধু মার্কিন মুল্লুকে নয়, গোটা বিশ্বেই এই প্রশ্ন ঘুরছে।
মার্কিন আইন বিশেষজ্ঞদের একটি বড় অংশ বলছে, আদালত এভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের নির্দিষ্ট কিছু বিষয় নিয়ে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে এবং নির্দেশ দিতে পারে। যেমন ঘটেছিল ২০০০ সালে। সে বছর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন রিপাবলিকান প্রার্থী জর্জ ডব্লিউ বুশ এবং ডেমোক্র্যাট প্রার্থী আল গোর। ওই বছর মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট বুশের নতুন করে ভোট গণনার আবেদনে সাড়া দিয়েছিল এবং পুনর্গণনার আদেশ দিয়েছিল।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, সে বছর বুশের দাবি স্পষ্ট এবং নির্দিষ্ট ছিল। যে পরিস্থিতির মধ্যে ভোট পুনর্গণনার আবেদন জানানো হয়েছিল, তারও একটি নির্দিষ্ট ভিত্তি ছিল। খবর বাংলানিউজের।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্প যেভাবে পোস্টাল ব্যালটের বিরোধিতা করছেন, আইনের দিক থেকে তার কোনো ভিত্তি নেই। মিশিগান, পেনসিলভানিয়া নিয়ে আদালতে ট্রাম্প যে অভিযোগ করেছেন, তা স্পষ্ট নয়। ফলে শেষ পর্যন্ত আদালত তাতে হস্তক্ষেপ করবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি রাজ্যের নিজস্ব আইন আছে। বিশেষজ্ঞদের অধিকাংশেরই ধারণা, সেই নিয়ম মেনেই পোস্টাল ব্যালট গণনা করা হচ্ছে। বস্তুত সে কারণে এ বছর ভোট গণনা করতে অনেক বেশি সময় লাগছে। করোনার কারণে রেকর্ড সংখ্যক পোস্টাল ব্যালটে ভোট হয়েছে এবার। মার্কিন ভোট এবং আইন বিশেষজ্ঞ নেড ফলি সংবাদসংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্ট দুটি বিষয় দেখতে পারে। এক ভোটের বৈধতা এবং দুই সেই প্রশ্ন ফলাফলে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ঘটাচ্ছে কি না। এ দুই বিষয় নিশ্চিত হলে তবেই আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে। ট্রাম্পের আবেদনে এই দুই বিষয় নেই বলেই তিনি মনে করছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফরাসি প্রেসিডেন্ট অনুতপ্ত!
পরবর্তী নিবন্ধজেল হত্যা দিবসের আলোচনা