মারিউপোলে পুতিনের জয় দাবি

‘একটা মাছিও যেন বের হতে না পারে’

| শুক্রবার , ২২ এপ্রিল, ২০২২ at ৬:২৬ পূর্বাহ্ণ

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধে বন্দরনগরী মারিউপোল প্রায় দু’মাস অবরুদ্ধ করে রাখার পর সেখানে জয় দাবি করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীটিকে ‘মুক্ত’ ঘোষণা করেছেন তিনি। যদিও এই নগরীর আজভস্তাইল ইস্পাত কারখানায় এখনও আটকে রয়েছে শত শত ইউক্রেইনীয় সেনা। খবর বিডিনিউজের।
মারিউপোলের শেষ এই প্রতিরোধ ঘাঁটি আজভস্তাইলে আক্রমণ শানানোর পরিকল্পনা আগেই বাতিল করেছেন পুতিন। ক্রেমলিনে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুর সঙ্গে টিভিতে প্রচারিত এক বৈঠকে পুতিন বলেছেন, সর্বশেষ এই প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে চূড়ান্ত সংঘাতে জড়ানোর কোনো প্রয়োজন নেই।

তিনি বলেন, ওই শিল্পাঞ্চলে ঝড় বইয়ে দেওয়ার প্রস্তাব অপ্রয়োজনীয় বলেই মনে করছি। আমি এটা বাতিলের নির্দেশ দিচ্ছি। এর পরিবর্তে পুতিন পুরো শিল্প অঞ্চলটি এমনভাবে ঘেরাও করে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন, যেন একটা মাছিও বের হতে না পারে। মারিউপোলকে মুক্ত করার লড়াই সফলভাবে শেষ করার জন্য পুতিন ক্রেমলিনের ওই বৈঠকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী শোইগুকে অভিনন্দন জানান এবং সেনাদেরকেও তার পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানিয়ে দিতে বলেন। শোইগু আনুমানিক হিসাব দিয়ে বলেছেন, আজভস্তাইল কারখানার ভেতরে দুই হাজার সেনা আছে। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন দিন কয়েক আগে থেকে ওই সেনাদেরকে অস্ত্রসমর্পণ করার আল্টিমেটাম দিয়ে এসেছেন। বলেছেন, তারা কথা শুনলে তাদের সঙ্গে সম্মানজনক আচরণ করা হবে। কিন্তু সেই আল্টিমেটামের পরও কারখানায় আক্রমণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে এবং মারিউপোলে জয় ঘোষণা করে পুতিন এখন ইউক্রেন যুদ্ধে এই প্রথম বড় ধরনের অর্জন দাবি করতে পারলেন; বিশেষ করে গত মাসে উত্তর ইউক্রেন থেকে রুশ সেনাদের পিছু হটে আসা এবং রাজধানী কিয়েভ দখলে ব্যর্থতার পর। কিন্তু তারপরও কয়েকমাস ধরে মারিউপোলকে অবরুদ্ধ করে রেখে এবং নৃশংস হামলা চালিয়ে নগরীটিকে ধ্বংস করে দিয়ে পুতিন যেভাবে সেখানে জয়ী হতে চেয়েছিলেন তেমন স্পষ্ট জয় তিনি পাননি। মারিউপোলের আজভস্তাইল কারখানায় পুতিনের আক্রমণ না চালানোর সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে ইউক্রেন উপহাস করে বলেছে, ইউক্রেনীয় সেনাদেরকে পরাজিত করতে যে তার (পুতিন) সেনার অভাব আছে সেটিই তিনি এর মধ্য দিয়ে স্বীকার করে নিলেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা ওলেঙি অ্যারেস্তোভিচ এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেছেন, তারা (রুশ বাহিনী) শক্তি দিয়ে আজভস্তাইল দখল করতে পারবে না, সেটা তারা বুঝে গেছে। সেখানে তারা প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। আমাদের প্রতিরোধ যোদ্ধারা কারখানাটির নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরানি এলিজাবেথের ৯৬
পরবর্তী নিবন্ধসন্দ্বীপে নিখোঁজ জমজ দুই বোনের একজনকে মৃত উদ্ধার