আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু খুনে মামলা দায়েরের এক সপ্তাহ আগে ঘটনায় বাবুল আক্তার জড়িত এমন তথ্য প্রমাণ পেয়েছেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। গতকাল বাবুলের আইনজীবীর জেরার জবাবে তিনি এ কথা বলেন। বাবুলের পক্ষে জেরাতে ছিলেন আইনজীবী কপিল উদ্দিন ও কামরুল ইসলাম সাজ্জাদ। কপিল উদ্দিন আজাদীকে বলেন, জেরা এখনো শেষ হয়নি। আগামী ২২ মে তারিখেও জেরা অনুষ্ঠিত হবে। পঞ্চম কার্যদিবসের এই জেরায় মোশাররফ হোসেনকে প্রশ্ন করা হয়, মামলার তদন্ত শেষ, বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। এসব কথা তদন্ত কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার চাকমা আপনাকে কখন বলেছিলেন? উত্তরে তিনি বলেন, আনুমানিক ২০২১ সালের মে মাসের ৪–৫ তারিখে। আইনজীবীরা প্রশ্ন করেন, ঘটনার পরপর বাবুল যে মামলা করেছিলেন, তাতে ফাইনাল রিপোর্ট দেওয়া হবে। আপনি মামলা করবেন বাদী হয়ে। তদন্ত কর্মকর্তা আপনাকে এসব কথাও বলেছিলেন? উত্তরে তিনি বলেন, না, তদন্ত কর্মকর্তা আমাকে এসব বলেননি। মামলা করব তা আমি নিজ থেকে বলেছি। আদালত সূত্র জানায়, গত ২ মে, ৮ মে, ১০ মে ও ১৬ মে তারিখেও মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনকে তার দেওয়া সাক্ষ্য নিয়ে জেরা করা হয়।
আদালত সূত্র আরো জানায়, আলোচিত এ মামলায় গত ১৩ মার্চ চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচারকাজ শুরু হয়। এর আগে গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর বাবুলসহ সাত আসামির বিরুদ্ধে মহানগর হাকিম আদালতে ২০পৃষ্ঠার চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক আবু জাফর মো. ওমর ফারুক। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, ২০১৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাবুল আক্তার কক্সবাজারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেখানে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএনএইচসিআর কক্সবাজার কার্যালয়ের কর্মী ও ভারতীয় নাগরিক গায়ত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয় এবং তার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এ কারণে স্ত্রী মিতুর সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়। এর জেরে তাকে খুনের সিদ্ধান্ত নেন বাবুল। একপর্যায়ে খুনিদের ৩ লাখ টাকায় ভাড়া করে মিশন শেষ করেন। পরে পরিকল্পনা মতো এ হত্যাকাণ্ডকে জঙ্গিদের কাজ বলে প্রচারণা চালানো হয়। ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাতে মিতু খুন হন।












