কক্সবাজারের পেকুয়ায় মামলা আছে বলে এক ব্যবসায়ীকে মগনামা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক পিটুনি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে অভিভাবকেরা পুলিশের জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করার পর গুরুতর আহত অবস্থায় ছাড়া পান ওই ব্যবসায়ী। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। গতকাল রোববার বিকালে এই ঘটনা ঘটে। পিটুনিতে আহত ব্যবসায়ীর নাম আবদুল হাকিম (৩৫)। তিনি উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের কোদাইল্যারদিয়া গ্রামের আশরাফ মিয়ার পুত্র। আশরাফ মিয়া অভিযোগ করেছেন, মগনামা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ও জয়নাল আবেদীন হত্যা মামলার প্রধান আসামি জিয়াউর রহমান, নূর মোহাম্মদ, বদিউল আলম, কানফুল বাহিনীর সদস্য দিদার, মনজুর ও মোক্তারের নেতৃত্বে আবদুল হাকিমকে ইউনিয়নের কাজীরবাজার এলাকা থেকে ধরে পরিষদে নিয়ে যায়। এ সময় চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয় তাকে।
ব্যবসায়ীর বাবা বলেন, খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই। এ সময় চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাই, আমার ছেলেকে ধরে এনে কেন পেটানো হচ্ছে। তার কী অপরাধ? এই প্রশ্ন করার পর চেয়ারম্যান জানান, ছেলের বিরুদ্ধে মামলা আছে। তাই তাকে ধরে আনা হয়েছে।
তিনি জানান, আমার ছেলের বউ সন্তান সম্ভবা। বউকে ডাক্তার দেখানোর জন্য ছেলে টেঙি আনতে যায়। কিন্তু সড়ক ভাঙাচোরা হওয়ায় তা ঠিক করার কাজও করছিল। সেই মুহূর্তে মামলার আসামি বলে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় পরিষদে। এরপর ছেলের ওপর চলে অমানবিক নির্যাতন। তিনি এই বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
৯৯৯-এ ফোন করার পর আহত ব্যবসায়ীকে দেখতে যাওয়া পেকুয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহ আলম বলেন, কারো বিরুদ্ধে মামলা বা পরোয়ানা থাকলে পুলিশই ব্যবস্থা নেবে। সেক্ষেত্রে মামলা আছে বলে ধরে নিয়ে যাওয়ার এখতিয়ার অন্য কারো নেই। বিষয়টি আমার ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে মগনামা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুস দাবি করেছেন, আবদুল হাকিমরা সড়কের ইট চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিল। তা দেখে পরিষদের গ্রাম্য চৌকিদার বাধা দিলে তাদেরকে মারধর করে আবদুল হাকিম। তাকে ইউনিয়ন পরিষদে এনে মারধর করা হয়নি।
এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কানন সরকার বলেন, এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেলে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।