মানুষ বাঁচে তার কর্মে

ছাইফুল হুদা ছিদ্দিকী | মঙ্গলবার , ১ ডিসেম্বর, ২০২০ at ১০:৩০ পূর্বাহ্ণ

সারা বিশ্বে রোটারিয়ানরা মানবসেবার মাধ্যমে সমাজের অবহেলিত মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। বিশ্বব্যাপী নিপীড়িত ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণে রোটারিয়ানদের অবদান প্রশংসনীয়। মানুষের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করতে পারলে মানবতা উপকৃত হবে। মানবতার কল্যাণে কাজ করার মধ্যে আত্মসন্তুষ্টি পাওয়া যায়। যারা মানুষের কল্যাণে কাজ করে সৃষ্টিকর্তা তাঁর কল্যাণের ব্যবস্থা করেন।এ সমাজকে জ্ঞানের আলোয়, মানবতার আলোয় আলোকিত করা, সু চিকিৎসা, নিরাপদ মাতৃত্ব, প্রকৃতি রক্ষায় বৃক্ষরোপণ ও রক্ষণাবেক্ষণ, স্বল্পমূল্য গৃহনির্মাণ, স্যানিটারি টয়লেট, স্বাস্থ্যসেবা, নিরাপদ পানীয় জল, স্বাক্ষরতা ও শিক্ষা, স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্বব্যাপী কর্মকাণ্ডের সাথে সাথে রোটারি অঙ্গনে স্বনামধন্য রোটারি জেলা ৩২৮২ এবং ৩২৮১ বাংলাদেশ এ আজ আলোর মশাল জ্বালিয়ে এগিয়ে চলছে ।
ব্যবসায়িক ও পেশাদার ব্যক্তিদের নিয়ে গড়ে ওঠা বিশ্বব্যাপী সেবামূলক সংগঠন রোটারি ইন্টারন্যাশনাল বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান যা শিকাগোর মার্কিন আ্যাটর্নি স্যার পল পারসিভাল হ্যারিস ১৯০৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেন।
সেবার সৎ ইচ্ছা, বন্ধুত্বের মাধ্যমে সামাজিক সমপ্রীতি, ব্যবসা-সমপ্রসারণ, শিক্ষা এবং অজানাকে জানা, ভোজন ভ্রমণ ও আনন্দ আর সর্বোপরি নেতৃত্বের গুনাবলীর বিকাশসহ নানান দিক নিয়ে রোটারী। রোটারি একটি অরাজনৈতিক, অসামপ্রদায়িক, অলাভজনক এবং সেবাধর্মী সংগঠন। এটা কি ‘সত্যি’, এটা কি সকলের জন্যে ‘ন্যায়সঙ্গত’ এটা কি ‘সুনাম ও বন্ধুত্ব’ সুদৃঢ় করবে ও এটা কি সকলের জন্যে ‘কল্যাণকর’-এই চারটি মুখ্য বিষয়ের ওপর বিশ্বাস রেখে রোটারিয়ানরা মানবসেবায় নিয়োজিত হন। তাই সক্ষম ব্যক্তিদের উদ্দেশে আবারও বলব, রোটারি ফাউন্ডেশনে বেশি বেশি অনুদান দিন । কারণ ভোগ নয়, ত্যাগের মাঝেই এ জীবনের সার্থকতা আসবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরুল অব দ্য পিপল
পরবর্তী নিবন্ধনারীদের ওপর মানসিক নির্যাতনের জন্য নারীরাই অধিকাংশে দায়ী