অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতায় জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। একই সঙ্গে শেখ হাসিনার পতনের পর দেশের মানুষের মনোজগতে যে পরিবর্তন ঘটে গেছে, তা অনুধাবনেরও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গতকাল রোববার এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছিলেন তিনি। ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এক মাস : কেমন গেলো, কেমন যেতে পারতো’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজক ছিল এবি পার্টি। সভায় আমীর খসরু বলেন, আমরা রাজনীতি করি, আমরা অনেক কথা বলি, অনেক বক্তব্য দেই, যার যার প্রেক্ষাপট থেকে আমাদের কথাগুলো বলি এবং বলব। কিন্তু বটম লাইন হচ্ছে, আজকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ঐক্যবদ্ধভাবে জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে আমাদেরকে সমর্থন করে কাজগুলো (সংস্কার) সম্পন্ন করতে হবে। জাতীয় ঐক্যের এই মুহূর্তে কোনো বিকল্প নাই। জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে, যে ঐক্যমত সৃষ্টি হয়েছে সেটাকে অক্ষুণ্ন রাখতে হবে, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন করতে হবে। খবর বিডিনিউজের।
তিনি বলেন, এই যে মুক্ত বাংলাদেশ পেয়েছি এটা আমাদের ধরে রাখতে হবে। শেখ হাসিনার পলায়নের পরে বাংলাদেশের মানুষের মনোজগতে যে পরিবর্তন এসেছে সেটা আমাদেরকে বুঝতে হবে। এই মনোজগৎ হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ রাজনৈতিক, গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে চায় পরিপূর্ণভাবে। দাঁড়ি, কমা থাকবে না। বাংলাদেশের মানুষ মুক্ত অবস্থায় বাঁচতে চায়, বাংলাদেশের মানুষ রাজনৈতিকভাবে, সামাজিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে সমতল লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড চায়।
আলোচনা সভায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে বলেন, যখন তারা (সরকার) বলছেন, ‘সংস্কার করব আমরা, ততদিন সময় দিন’। তখন তো বলতে হব, কী কী এজেন্ডা সংস্কারে আছে সেটা বলেন এবং তার জন্য কয়দিন লাগবে সেটা বলেন। এই ব্যাপারে এই এক মাসে আমি কোনো লাইফ দেখতে পারছি না। এখন হয়তবা তাদের কাছে আছে অথবা তারা মনে করছেন এখনই বলা যাবে না। এটা সত্যি, যদি জাতীয় ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে না যান, তাহলে কোনোদিনই সফল হবেন না।
সরকারের উদ্দেশে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ত্রিশ দিন পার হয়েছে, এখন পর্যন্ত আপনারা কাজের কোনো এজেন্ডা প্রকাশ করেননি। বাংলাদেশের মানুষ আমরা এখন পর্যন্ত জানতে পারিনি।
আওয়ামী লীগের সময়ে সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকা জাতীয় পার্টির সমালোচনা করেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, ছাত্র–জনতার আকাঙ্ক্ষা এই রাষ্ট্র হবে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। কেউ যদি অন্যকিছু চিন্তা করেন সেটা বাংলাদেশের মানুষ মেনে নেবে না।