মানসিকতার পতন

শরণংকর বড়ুয়া | রবিবার , ১২ জুন, ২০২২ at ৮:২৩ পূর্বাহ্ণ

দিন কাল এখন কেমন জানি হয়ে গেছে। জেগেও আমরা ঘুমিয়ে আছি, দেখেও দেখি না! পথ চলছে জায়গা হয় না। বড় জনদের শ্রদ্ধা, সম্মান কেউ দিতে চায় না। উপকারে উপকারিতা স্বীকার করে না। মাইনে বেশী পেলে, চাকুরীর পদমর্যাদা বড় হলে কেমন জানি অহংকার, আমবড় দেখায়। বড়দের অসহায় ভেবে জ্ঞান দিতে শুরু করে। শিক্ষার এত অধঃপতন দেখে খুব কষ্ট হয়। সুশিক্ষা, সংস্কৃতিতে অন্ধকারের ছায়া নেমে এসেছে। আকাশ সংস্কৃতির দাপটে দেশীয় সংস্কৃতির দারুণ ক্ষতিগ্রস্ত। আমরাও ঐ সব অনুকরণ করে নিজেদের পালটে ফেলেছি।

ছোট থেকে বৃদ্ধ সকলে আমরা যে কি চাইছি তা বোধগম্য নয়। ভালো মন্দ বুঝার ক্ষমতা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। এখন নেই মানুষের মাঝে প্রীতি ভালোবাসা। আপন জনেরা একে অপরকে ছন্দবেশে কৌশলে পরাস্ত করার চেতনায় ব্যস্ত। শুধুই সংকীর্ণতা মন মানসিকতার পতন। হারানোর চেষ্টায় ব্যর্থ হলে হিংসা ক্রোধে অন্যের সুখের সংসারে আগুন অথবা গুম। কেউ উপরে উঠতে চাইলে তাকে টেনে নীচে নামিয়ে আনা, কলংকিত করা আমাদের স্বভাব হয়ে দাড়িয়েছে। পথ চলতে নারীর স্বাধীনতার উপর হুমকি। মনুষ্যত্ব শিক্ষার আদর্শ ডাষ্টবিনে নিক্ষেপ মানুষ মানুষের জন্যএই অসাধারণ অমূল্যবাণী নিছক একজন লেখকের আবেগের কথা। জ্ঞানীরা অর্থের কাছে তাবেদার। এই সমাজ এবং মানুষের মনের মাঝে স্বার্থ, কুসংস্কার নোঙর করেছে। লজ্জাহীন, হৃদয়হীন, জঘন্য, কুৎসিত আলোহীন আঁধারে বয়ে যাওয়া জীবন আজ গতিহীন! নিক্ষেপ হতে চলেছে অনন্তনিশিপুরে। ঘুনে ধরা সমাজে স্বার্থপর মানুষ রাহুগ্রস্ত হয়ে সভ্যতার ধ্যান ধারণা কলংকের ছায়া বৃত্ত। আমাদের মন মানসিকতাকে পরিবর্তন এনে নিজেকে বিকিয়ে দিয়ে টাকার নেশায় সততা বিসর্জন দিয়ে চরিত্র প্রকাশ করছে। অহংকার আর প্রাপ্তির নেশায় মানুষ আজ অস্থির। মানসিকতার পরিবর্তন এনে হাতে হাত মিলিয়ে সমাজ তথা দেশকে কলুষমুক্ত করে সুন্দর দেশ গড়ার প্রতিজ্ঞা করতে হবে। তবেই আমরা সুন্দর মনের মানুষ হবো।.

পূর্ববর্তী নিবন্ধদুর্ঘটনা রোধে ফুটপাত হোক দখলমুক্ত
পরবর্তী নিবন্ধসীতাকুণ্ড ট্রাজেডি এবং চট্টলাবাসীর মানবিকতার নজির