মানব পাচার বন্ধ করা জরুরি

চন্দন মণ্ডল | শনিবার , ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৭:৪৩ পূর্বাহ্ণ

মানব পাচার আধুনিক সভ্যতার একটি নিকৃষ্টতম সামাজিক অপরাধ। প্রাচীনকাল ও মধ্যযুগের দাসপ্রথা আধুনিক যুগে মানব পাচারে পরিণত হয়েছে। একবিংশ শতাব্দীতে এসে ক্ষুধা আর দারিদ্র্যের নির্মম আঘাতে নিম্নবিত্ত পরিবারের কিছু মানুষ উন্নত জীবনের আশায় অসাধু চক্রের ফাঁদে পড়ে স্বীকার হচ্ছে মানব পাচারে ভয়াল থাবায়।
বাংলাদেশের জন্য মানব পাচারের বিষয়টি অনেক উদ্বেগজনক। মানব পাচার সংক্রান্ত্র সংবাদ যেন মিডিয়ার নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। সম্প্রতি ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার সময় সাতজন বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন। এরা মানব পাচার চক্রের স্বীকার। প্রতি বছরই মানব পাচার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। বাংলাদেশের বিদেশগামী নারী ও অবুঝ শিশুদের একটা অংশ বরাবরই মানব পাচারের শিকার হচ্ছে। এই জঘন্যতম অপরাধের পেছনে রয়েছে বিশাল এক চক্র। তারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। প্রথমে তারা বিদেশে যেতে আগ্রহী নিরীহ ও দরিদ্র মানুষকে চিহ্নিত করে। তারপর তাঁদের ছলে বলে কৌশলে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে উচ্চ বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখায়। বিদেশে চাকরির নাম করে তাঁদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিদেশে পাচার করে দেয়। মানব পাচার মানবাধিকার বিরোধী একটি জঘণ্য অপরাধ। এর সঙ্গে রাষ্ট্রের মানমর্যাদার প্রশ্নও আছে। পাচারের শিকার মানুষগুলো যেমন দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে, তেমনি দেশে তাদের স্বজনদের জন্যও নিয়ে আসছে বেদনা, হতাশা ও অনিশ্চয়তা। মানব পাচার দমন ও প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে অপরাধীদের বিচারে বিলম্ব না করে দ্রুত শান্তি দেওয়া উচিত। সর্বোপরি প্রশাসনের পাশাপাশি আমাদের সবার সচেতনতার মাধ্যমে মানব পাচার বন্ধ হবে বলে প্রত্যাশা করি।
লেখক : শিক্ষার্থী

পূর্ববর্তী নিবন্ধহালদা রক্ষায় সচেতন হতে হবে
পরবর্তী নিবন্ধস্মৃতিসৌধে জুতা পায়ে ওঠা বন্ধ হোক