মানব পাচার বন্ধে সম্মিলিত পদক্ষেপ চাই

| শুক্রবার , ২ আগস্ট, ২০২৪ at ৬:৪৪ পূর্বাহ্ণ

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধারণ নিরীহ লোকদের কোনো প্রকার শ্রম চুক্তিপত্র ছাড়াই ভালো চাকরি, বিয়ে ও নানাবিধ সুযোগসুবিধার প্রলোভন দেখিয়ে, বিশেষ করে মালয়েশিয়ায় ট্রলারে করে সমুদ্রপথে এবং মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে পাচার করা হয়। যতই জনসচেতনতামূলক প্রচারণা হোক না কেন, জীবিকার মানোন্নয়ন ব্যতীত মানব পাচার প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান ও ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবস্থা করেছে। উপবৃত্তি প্রকল্পের আওতায় এনে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে শিক্ষা অর্জনের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় দেওয়া হচ্ছে বয়স্ক ভাতা, বিধবা বা স্বামী নিগৃহীত ভাতা। তবে মানব পাচার প্রতিরোধে জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস আরো শক্তিশালী করা প্রয়োজন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জনবল বৃদ্ধি এবং বিশেষ করে কোস্টগার্ডের টহল বোটের সংখ্যা বাড়ানো জরুরি। মানব পাচার চক্রান্তে জড়িতদের ট্রাইব্যুনালের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ট্রাইব্যুনালের জনবলও বৃদ্ধি করা আবশ্যক।

আগ্রহীদের ডাটাবেস তৈরি করে বিশ্ব চাহিদা মোতাবেক সরকারিবেসরকারি সংস্থার সহযোগিতায় প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করে বৈধভাবে বিদেশ গমনের লক্ষ্যে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এভাবেই আমরা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিতপূর্বক মানব পাচার দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারি।

আসিফ আল মাহমুদ

পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল : টেলিফোন আবিষ্কারক
পরবর্তী নিবন্ধআর সহিংসতা, নৃশংসতা নয়