মাধ্যমিক স্তরকে বলা হয়ে থাকে শিক্ষাব্যবস্থার মেরুদণ্ড। বর্তমানে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির ইংরেজি গ্রামারের লিখিত অংশে অর্থাৎ পার্ট–বি’তে কোনো বিকল্প প্রশ্ন রাখা হয় না, যা রীতিমত দুর্বল শিক্ষার্থীদের কাছে ভীতিকর। অথচ আমরা যখন মাধ্যমিক স্তরে পড়তাম তখন ইংরেজি ১ম পত্রের লিখিত অংশে প্রায় প্রতিটি প্রশ্নে বিকল্প প্রশ্ন থাকত, বিশেষ করে প্যারাগ্রাফ, লেটার ও ডায়ালগ অংশে দুটি করে, এছাড়া ইংরেজি গ্রামারের লিখিত অংশে প্যারাগ্রাফ, অ্যাপ্লিকেশন/ইমেল অংশে দুটি করে, এসে/কম্পোজিশন অংশে তিনটি করে বিকল্প থাকত। যা বর্তমানে থাকে না। এখন প্রশ্ন হচ্ছে বর্তমানে শিক্ষার্থীরা কি ইংরেজিতে এতই সবল যে, তারা বিকল্প না থাকলেও সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে? উল্লেখ্য, বাংলা ব্যাকরণ পরীক্ষায় লিখিত অংশে এখনো আগের মত প্রতিটি প্রশ্নে বিকল্প রাখা হয়। বিশেষ করে, রচনা অংশে তিনটি বিকল্প থাকে। বাংলা হচ্ছে মাতৃভাষা, বাংলা ব্যাকরণ পরীক্ষায় লিখিত অংশে বিকল্প না থাকলেও তারা কিছু না কিছু লিখতে পারে কিন্তু ইংরেজি বিদেশি ভাষা হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীরা কমন না পেলে লিখতে পারে না।
অতএব, মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে ইংরেজি বিষয়ের লিখিত অংশে অর্থাৎ পার্ট–বি’তে পূর্বের মত বিকল্প প্রশ্ন রাখার গুরুত্ব অনুধাবন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এমনটাই আশা করি।
মো. মোশতাক মেহেদী,
সহকারী প্রধান শিক্ষক,
বুজরুক বাঁখই মাধ্যমিক বিদ্যালয়,
কুমারখালী, কুষ্টিয়া।