মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পোশাক জটিলতা, ফের বদলাতে হবে রঙ

| শনিবার , ১৮ মার্চ, ২০২৩ at ৫:৪১ পূর্বাহ্ণ

রঙ নিয়ে জটিলতায় নতুন পোশাক তৈরির স্বল্প সময়ের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো পোশাক পাল্টানোর মুখে পড়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর; আপত্তি এসেছে অন্য বাহিনী থেকে।

সাড়ে তিন মাস আগেও একবার বাহিনীটির পোশাকের রঙ বদলাতে বলা হয়েছিল। পরে আলোচনা শেষে আর পোশাক পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়নি। এর রেশ কাটতে না কাটতেই পুনরায় রঙ বদলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অন্য বাহিনীর পোশাকের রঙের সঙ্গে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রঙ মিলে যাওয়াই এর কারণ বলে সবশেষ আদেশে বলা হয়েছে। গত বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পোশাকের রঙ বদলাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তবে নতুন আদেশের বিষয়টি এখনও জানেন না বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আজিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, যদি মন্ত্রণালয় থেকে কিছু বলে সেক্ষেত্রে তারা দেখবেন। যে পোশাক এখন আছে সেটি চলছে। খবর বিডিনিউজের।

অন্য বাহিনীর সঙ্গে রঙের মিল থাকায় আগেও একবার নতুন পোশাক তৈরির সিদ্ধান্ত আটকে ছিল। পোশাক নিয়ে সবশেষ আদেশটিতে সই করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপসচিব জাহিদুল ইসলাম।

আদেশে বলা হয়েছে, অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে কিছুটা মিল হওয়ায় অধিদপ্তরের পোশাকের রঙ পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা পরিলক্ষিত হয়েছে। ভিন্ন রঙে পোশাক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে এতে। এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবদুল ওয়াহাব ভূঞার সঙ্গে টেলিফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য জানা যায়নি।

২০১৪ সাল অধিদপ্তরের সিপাহী থেকে পরিদর্শক পর্যন্ত কর্মকর্তাকর্মচারীরা খাকি রঙের ইউনিফর্ম পরিধান করতেন। তখন পোশাকের এ রঙ নিয়ে কর্মকর্তাকর্মচারীদের মাঝে অসন্তোষ থাকায় তা পরিবর্তনের আলোচনা তৈরি হয়। এরপর ২০২১ সালের ২৩ মে নতুন প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অধিদপ্তরের কর্মকর্তাকর্মচারীদের জন্য ‘টার্কিশ ব্লু’ রঙের পোশাক নির্ধারণ করা হয়। যেখানে অন্যান্য বাহিনীর মতো অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক পর্যন্ত সবাইকে একই রঙের পোশাক পরিধানের কথা বলা হয়েছিল। এর প্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ২১ জুলাই অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় ১ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন পোশাক ব্যবহারে নীতিগত সিদ্ধান্ত জানানো হয়। তখন পোশাক তৈরির পর একটি সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের ইউনিফর্মের সঙ্গে অধিদপ্তরের নতুন ইউনিফর্মের ‘রঙের মিল’ আছে বলে আপত্তি তোলা হয়। ফলে অগাস্টের শেষ দিকে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় থেকে ‘মৌখিক নির্দেশনায়’ পোশাক পরিধানের বিষয়টি স্থগিত রাখতে বলা হয়। আপত্তির পর ২৯ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় দুই পোশাকের রঙ নিয়ে আলোচনায় ওই আপত্তি টেকেনি। এরপর অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম শেষে ১ নভেম্বর পোশাক পরিধানের লিখিত আদেশ আসে মন্ত্রণালয় থেকে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, পোশাক নিয়ে একবার আপত্তি তোলা হয়েছিল একটি সংস্থার পক্ষ থেকে। সে আপত্তি না টেকায় অধিদপ্তরের সদস্যদের পোশাক পরিধানের অনুমতি দেয় মন্ত্রণালয়। তিনি মনে করেন, পোশাক পেয়ে তাদের সদস্যরা ‘মেন্টালি বুস্ট আপ’ হয়েছেন। আবার নতুন নির্দেশনাটির কারণে তাদের মনে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।

এ কর্মকর্তা বলেন, এবার কাদের আপত্তির কারণে পোশাকের রঙ পরিবর্তনের আদেশ এসেছে এটা আমাদের নলেজে নেই। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড ওয়ানডে সিরিজ শুরু আজ
পরবর্তী নিবন্ধওআইসির ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হল বাংলাদেশ