দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ পলিথিন মোড়ানো ঘরে বসবাস করে আসছেন বোয়ালখালী পৌরসভার বহদ্দার পাড়া বাদশা মিয়ার মেয়ে লাকি আকতার (৪৫)। বর্ষা এলেই পরিবার নিয়ে এক রকম নির্ঘুম রাত কাটতো তাদের। অর্থের অভাবে মেরামত করতে পারছিলেন না ঘর। ঝড়–তুফান এলেই তিনি দিশেহারা হয়ে পড়তেন, তীব্র বাতাসে ঘর ভেঙে যাওয়ার অবস্থা। ঘর মেরামত করতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও তেমন কিছুই পাননি।
ঠিক সেই মুহুর্তে খবর পেয়ে জরাজীর্ণ ঘর দেখতে ছুটে যান এম এ হাশেম ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়র জহুরুল ইসলাম জহুর। নির্মাণ করে দেন নতুন ঘর। লাকি আকতার পেয়েছেন মাথা গুজার ঠাঁই। শুধু তিনিই নয় এমন অসহায় অবস্থায় দীর্ঘদিন জরাজীর্ণ ঘরে পড়ে ছিলেন বহদ্দারপাড়া এলাকার মৃত বাঁচা মিয়ার ছেলে আবদুল হাকিম, পশ্চিম গোমদণ্ডী এলাকার মৃত সোলতান আহমদের মেয়ে রিফা আকতার, মৃত আবদুল বারেকের ছেলে খোরশেদ আলম, মৃত শামশুল আলমের স্ত্রী মরিয়ম বেগম, মো. মিজানের স্ত্রী জমিলা খাতুন।
নিজস্ব অর্থায়নে প্রত্যেককে একটি করে মোট ছয়টি অসহায় দরিদ্র পরিবারকে নতুন ঘর উপহার দিয়েছেন এম এ হাশেম ফাউন্ডেশন। ফাউন্ডেশনের পরিচালকদের সার্বিক সহযোগিতায় ঘরগুলো নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৬ লাখ টাকা। প্রায় এক মাস পর ঘরের নির্মাণ কাজ শেষে ছয় পরিবারকে গত বুধবার তাদের নতুন ঘর বুঝিয়ে দেন জহুরুল ইসলাম জহুর। তিনি বলেন, ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে অসহায় মেয়ের বিবাহে আর্থিক অনুদান, পড়ালেখা করতে না পারা শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রী, বই, নগদ অর্থ প্রদান, যুব সমাজকে মাদক থেকে বাঁচাতে খেলাধুলাসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ড করে আসছে এম এ হাশেম ফাউন্ডেশন। এরই ধারাবাহিকতায় অসহায় ছয়টি পরিবারকে নতুন ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়। আগামীতেও এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখা হবে।








