সকাল সাতটা, পথচারীরা হঠাৎ একটি ক্ষীণ কাঁপা কান্নার শব্দ শুনতে পান। প্রথমে ভেবেছিলেন কোনো শিশুর কান্না, কিন্তু আশপাশে কোনো শিশু দেখা গেল না। শব্দের উৎস খুঁজতে গিয়ে তারা মাটির নিচে এক নবজাতকের অস্তিত্ব পান। শিশুটির বুকের ওপর রাখা হয়েছিল একটি ইট।
পথচারীরা দ্রুত শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে স্থানীয় এক নিঃসন্তান নারী শিশুটিকে দত্তক হিসেবে আশ্রয় দেন। ঘটনাটি পুরো এলাকায় শোক ও বিস্ময় সৃষ্টি করে। গাজীপুরের টঙ্গীর মরকুন মধ্যপাড়ায় গত ১৩ নভেম্বর এ ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশি তদন্তে সামনে আসে, শিশুটির মা খালেদা (৩০) তার স্বামী স্বপনের সহায়তায় নিজের ঘরে শিশুটি জন্ম দেয়ার পর পাশের ছোট গর্তে মাটিচাপা দেন। পুলিশ জানায়, অভাব–অনটনের কারণে তারা এমন ভয়াবহ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। খালেদা স্বীকার করেন, তারা দায়িত্ব নিতে পারবেন না, তাই শিশুটিকে মাটিচাপা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
টঙ্গী পূর্ব থানার এসআই বায়েজিদ জানান, শিশুটিকে নিরাপদে দত্তক পরিবারের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুই অভিযুক্তকে মানবিক কারণে বাড়িওয়ালার তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।












