মাছ উৎপাদন ও রাজস্ব আয় দুটোই কমেছে

রাঙামাটি প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ১০ জুন, ২০২১ at ৮:০৫ পূর্বাহ্ণ

এশিয়ার বৃহত্তম কৃত্রিম কাপ্তাই হ্রদ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরে ১২ কোটি ১১ লাখ ৮৯ হাজার টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। এই অর্থবছরে কাপ্তাই হ্রদে ১২ হাজার ৩০৮.০৬ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন রাঙামাটি (বিএফডিসি)।
বিএফডিসি রাঙামাটি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য উৎপাদন ছিল ১২ হাজার ৬১৩.৩৭ মেট্রিক টন। কিন্তু ২০২০-২১ অর্থবছরে মৎস্য উৎপাদন হয়েছে ১২ হাজার ৩০৮.০৬ মেট্রিক টন, যা গত বছরের চেয়ে ৩০৫.৩১ টন কম। ২০১৯-২০ অর্থবছরে কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য থেকে রাজস্ব আয় হয়েছিল ১৫ কোটি ২৪ লক্ষ আট হাজার টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরে রাজস্ব আয় হয়েছে মাত্র ১২ কোটি ১১ লক্ষ ৮৯ হাজার টাকা, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩ কোটি টাকা কম।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন রাঙামাটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাঈম আহমেদ রিয়াদ জানান, কাপ্তাই হ্রদে এ বছর ৪৫.৯২ মেট্রিক টন মাছের পোণা অবমুক্ত করা হয়। এর মধ্যে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার হ্যাচারি থেকে এনে ৫শ পিস চিতল ও ১ হাজার পিস শৈল মাছের পোণা অবমুক্ত করা হয়। এবার লেকে প্রায় ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার পোণা অবমুক্ত করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিএফডিসি রাঙামাটির ব্যবস্থাপক লে. কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, কাপ্তাই লেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি না থাকায় এ বছর হ্রদে মাছের উৎপাদন এবং রাজস্ব দুটোই কম হয়েছে। প্রতি বছর হ্রদে ৩ মাস মাছ শিকার বন্ধ থাকা অবস্থায় অর্থাৎ ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে জুন মাসের মধ্যে লেক পানিতে পরিপূর্ণ থাকে। কিন্তু গত বছর লেকে পানি এসেছে অক্টোবর মাসে। এতে করে মাছের উৎপাদন কম হয়েছে। আশা করছি আগামী মৌসুমে মাছের উৎপাদন ভালো হবে।
উল্লেখ্য, ৭২৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের কাপ্তাই হ্রদে মাছের প্রজনন বৃদ্ধির জন্য প্রতি বছর মে থেকে জুলাই পর্যন্ত তিন মাস শিকার, আহরণ ও বাজারজাত সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে। রাঙামাটি বিএফডিসির তথ্য মতে, রাঙামাটি জেলায় প্রায় ২৫ হাজার জেলে ছাড়াও মাছ ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করছেন প্রায় লক্ষাধিক মানুষ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাটহাজারীতে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক
পরবর্তী নিবন্ধআল্লামা ফরহাদাবাদী একাডেমির মতবিনিময়