মাইক্রো উল্টে গাছে, ট্রাকের মুখোমুখি অ্যাম্বুলেন্স

লোহাগাড়ায় পৃথক দুর্ঘটনা, আহত ১৪

লোহাগাড়া প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৫:১৮ পূর্বাহ্ণ

লোহাগাড়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪ জন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার চট্টগ্রামকক্সবাজার মহাসড়কে চুনতি ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া ও সদর ইউনিয়নের লোহারদীঘির পাড়া এলাকায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, ভোর ৬টার দিকে জাঙ্গালিয়া এলাকায় কক্সবাজারমুখী একটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে সড়কের পাশে গাছের সাথে আটকে যায়। দুর্ঘটনা কবলিত মাইক্রোবাস থেকে আহত যাত্রীরা বের হয়ে বিপরীতমুখী একটি অ্যাম্বুলেন্সকে দাঁড়ানোর জন্য সিগনাল দেয়। এ সময় কক্সবাজারমুখী পাথরবোঝাই একটি ট্রাকের সাথে অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ৬ জন আহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। পাথরবোঝাই ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্সের সম্মুখভাগ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। লোহাগাড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা রুবেল আলম জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। অপরদিকে, দুপুর ১টার দিকে লোহারদীঘির পাড় এলাকায় কঙবাজারমুখী প্রাইভেটকারের সাথে বিপরীতমুখী সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। পরে প্রাইভেটকারটি সড়কের পাশে গাছের সাথে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে শিশুসহ ৮ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আহতদের মধ্যে সিএনজি অটোরিকশা চালক আলমগীরের অবস্থা গুরতর বলে জানা গেছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

দোহাজারী হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খান মুহাম্মদ এরফান জানান, খবর পেয়ে দুর্ঘটনাস্থলগুলোতে দ্রুত ফোর্স পাঠানো হয়। জাঙ্গালিয়া এলাকায় দুর্ঘটনা কবলিত মাইক্রোবাস, অ্যাম্বুলেন্স ও লোহারদীঘির পাড় এলাকায় দুর্ঘটনা কবলিত প্রাইভেটকার, সিএনজি অটোরিকশা হাইওয়ে থানা হেফাজতে রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জানা যায়, চট্টগ্রামকঙবাজার মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনা মারাত্মক রূপ ধারণ করেছে। এর মধ্যে গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক থেকে ছিটকে পড়া, পথচারীকে চাপা দেয়াসহ নানাভাবে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনায় প্রাণহানির পাশাপাশি বহু মানুষ আহত হচ্ছেন। দুর্ঘটনা বৃদ্ধির জন্য অন্যতম কারণ হিসেবে জানা যায়, চালকদের প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব ও বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, হেলপারকে দিয়ে গাড়ি চালানো, অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালক, সড়কে চলাচলে পথচারীদের অসতর্কতা, ওভারটেকিং, দীর্ঘক্ষণ বিরতিহীন গাড়ি চালানো, জনবহুল এলাকাসহ দূরপাল্লার সড়কে ট্রাফিক আইন যথাযথভাবে অনুসরণ না করা, সড়কের উপর গাড়ি থামিয়ে যাত্রী উঠানামা করা, অপ্রশস্ত সড়ক, লবণ পানিতে পিচ্ছিল মহাসড়ক, বিপজ্জনক বাঁক, মহাসড়কে ধীর গতির ছোট যানবাহন চলাচল, ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত ওজন নিয়ে গাড়ি চলাচল, সড়কের দু’পাশে অনেকগুলো হাট বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও প্রতি বছর সংস্কারের ফলে মহাসড়কের দু পাশে অসমান অংশের দূরত্ব বৃদ্ধি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহিরো আলমকে নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য ছিল না : কাদের
পরবর্তী নিবন্ধনতুন শহীদ মিনারের কাজ শেষ হতে লাগবে আরও দুই মাস