আমাদের প্রায় প্রতিটি গ্রামেই মসজিদ আছে। আবার এমনকি কোনো কোনো গ্রামে একাধিক মসজিদও আছে। সিয়াম সাধনা বা রোজার পাশাপাশি কিয়াম তথা নামাযের মাসও মুবারকময় মাহে রমজান। আমাদের অধিকাংশ মসজিদেই হাফেযদের মাধ্যমে খতমে তারাবিহ নামায পড়ান, প্রতিটি শহর বা বন্দর, গ্রাম গঞ্জের মসজিদ সমূহে সম্পন্ন করেন পবিত্র কুরআন। খতমে তারাবিহ খ্যাত- এ নামাযে প্রায় দশ-তেরো লাখ হাফেয নামাজ পড়ান। সবাই সারা বছরই কুরআন চর্চা করে রমজানে তারা সে চেষ্টা সাধনার প্রয়োগ ঘটান। সেই সাথে নিজেদের চর্চার ইয়াদ বা আত্মস্থ থাকার বিষয়টা রয়েছে। অনেক সময় মসজিদ পরিচালনা কমিটির একঘেয়ামি সিদ্ধান্তের জন্য অনেক হাফেয বঞ্চিত হচ্ছে খতম তারাবিহ নামায থেকে। রমজানই কুরআর চর্চার মূল মাস। তারাবিহ পড়াতে না পারলে তাদের কুরআন তিলাওয়াত সেই চর্চায় প্রাণ ফিরে আসবে না। এই বিষয়ে মসজিদ পরিচালনা কমিটিকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। আমাদের লক্ষাধিক হাফেযে কুরআনের ব্যাপারে মসজিদ কমিটি কী মানবিক হবেন? তা না হলে বহুসংখ্যক হাফেযদের ওপরে নির্ভরশীল পরিবার রমজান বা ঈদ উদযাপন হবে কষ্টদায়ক। সমাজের সম্পদশালী ব্যক্তিও কুরআন নাযিলের এই মাসে কুরআর চর্চার জন্য বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারেন। এক্ষেতে সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিচালিত খতমে তারাবিহ জন্য হাফেয নিয়োগে সংখ্যা বৃদ্ধি করে এই সমস্যা দূর করতে পারেন। আশাকরি, বিষয়টা মসজিদ কমিটি অত্যন্ত গুরুত্ব ও সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করবেন। অন্যথতায় আমাদের প্রিয় হাফেযরা এক মহা সংকটে পড়তে পারে।
মুহাম্মদ নুর রায়হান চৌধুরী
জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদরাসা,
চট্টগ্রাম।