ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সঠিক নির্দেশনা প্রয়োজন। যেমন- সংশ্নিষ্ট বিশেষায়িত হাসপাতাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা, ড্রেন পরিষ্কার রাখা, বাড়ির আঙিনায় ফুলের টবে পানি জমতে না দেওয়া, ঝোপঝাড় পরিষ্কার করা, রাস্তার আশপাশ ও খানাখন্দ পরিষ্কার বা ভরাট করা, জনকল্যাণমূলক সচেতনতা বৃদ্ধি করা ইত্যাদি। ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক বিভিন্ন ওয়ার্কশপ, সেমিনারের মাধ্যমে সচেতনতামূলক আলোচনা করা জরুরি। ঢাকায় কিউলেঙ ও এডিস মশার প্রজনন অত্যন্ত বেশি। ফ্রিজ বা এসির পানি জমতে না দেওয়া, ড্রেন ও নর্দমার পানি যাতে না জমে- এসব বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং লার্ভা ধ্বংস করার কীটনাশক স্প্রে করা খুবই জরুরি বলে মনে করি। অন্যথায় ডেঙ্গু এ বছর মারাত্মক আকার ধারণ করে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। যদি কোথাও দেখা যায় মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে, তাহলে তাৎক্ষণিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে এবং তাদেরও জনডাকে সাড়া দিতে হবে। যার যার অবস্থান থেকে যদি সবাই সচেতন হতে পারি, তাহলেই মশা নিধনের জন্য স্থায়ী কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া যাবে বলে আশা করি।
প্রসেনজিৎ কুমার রোহিত , শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ