মশক নিধনে প্রয়োজন পৃথক ব্যবস্থাপনায় বিশেষ টিম

নাগরিক ফোরামের সংবাদ সম্মেলন ।। বন্দরে লোক নিয়োগে স্থানীয়দের অগ্রাধিকার দাবি

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২২ মার্চ, ২০২১ at ৬:৩৩ পূর্বাহ্ণ

নগরে মশক নিধনে পৃথক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিশেষ টিম গঠন, চট্টগ্রাম বন্দরে লোক নিয়োগে স্থানীয়দের অগ্রাধিকার দেয়া ও উন্নয়নে সার্ভিস চার্জ প্রদানসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম। গতকাল চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব দাবি জানানো হয়। দাবি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের সাথে মতবিনিময়, নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে জনমত গঠনে সভা ও মানববন্ধনসহ নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়া হয়।
এতে ফোরামের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো. কামাল উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন ফোরামের উপদেষ্টা সাবেক সাংসদ মজহারুল হক শাহ চৌধুরী, ফোরামের ভাইস চেয়ারম্যান হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর ও রোটারিয়ান ইলিয়াস। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, নিয়মিত মশক নিধনে একটি পৃথক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নগরীতে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। নিয়মিত গবেষণা ও উপাত্ত সংগ্রহে বিশেষ টিম নিয়োগ করে তাদের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে প্রতিটি বাড়ি ও ঘরের আশপাশে কীটনাশক ছিটাতে হবে। প্রতিটি নালা-নর্দমা ও খাল নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।
অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে- জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানে চলমান মেগা প্রকল্পের কাজ আগামী দুই বছরে শেষ করা, শেখ মুজিব রোডের বক্স কালভার্ট পরিষ্কার করে সচল করা, খাল-নালায় সরাসরি আবর্জনা ও পলিথিন নিক্ষেপকারীদের স্পট জরিমানা করা, টেকসই দ্বিমুখী ডাবল সড়ক ও রেলপথসহ কর্ণফুলীর কালুরঘাটে নতুন সেতু নির্মাণে চার থেকে ছয় মাসের মধ্যে কাজ শুরু করা, চসিকের পৌরকর ব্যবস্থা সংস্কার করে হয়রানি রোধ ও অযৌক্তিক ট্যাঙ বৃদ্ধি থেকে বিরত থাকা।
পরিবেশ দূষণ রোধে অতিরিক্ত ধোঁয়া সৃষ্টিকারী ও দূষণে সক্ষম সকল যানবাহন ও শিল্প কারখানার লাইসেন্স বাতিলসহ পাঁচ দফা দাবি জানানো হয়। চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে নগরে সরকারি দেড় হাজার শয্যার কমপক্ষে দুইটি এবং উত্তর ও দক্ষিণ চট্টগ্রামে ৭০০ শয্যার একটি করে হাসপাতাল নির্মাণ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও জেনারেল হাসপাতালকে সংস্কার করে শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি ও অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের জন্য পৃথক ব্যবস্থাপনারও দাবি জানানো হয়। অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, চট্টগ্রামে অন্তত দুইটি পূর্ণাঙ্গ নতুন ও আন্তর্জাতিক মানের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা, বিদ্যমান সরকারি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক মানের সরকারি নার্সিং ও প্যারামেডিক্স কলেজ প্রতিষ্ঠা। চট্টগ্রাম বন্দর, বিমান বন্দর, ইপিজেড, নৌ ও বিমান বাহিনী ইত্যাদি প্রতিষ্ঠা ও সমপ্রসারণে স্থানীয় যাদের ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে ওসব পরিবারের সদস্যদের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শূন্য পদ পূরণে অগ্রাধিকার দেয়ার দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রামের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিভিন্ন দাবি জানানো হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন নজরুল ইসলাম তালুকদার, হাসিনা জাফর, লায়লা বেগম, মো. ফোরকান, সালামত আলী, ডা. শেখ জাহেদ, আকরাম হোসেন, আশীষ চৌধুরী প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপলিথিনের বিকল্প সোনালি ব্যাগ : প্রয়োজন রাষ্ট্রীয় সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতা
পরবর্তী নিবন্ধকালভার্টটি খালেই পড়ে আছে ৫ বছর