ডিএনএ প্রতিবেদনের অপেক্ষায় হিমাগারেই রয়ে গেছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কণ্টেনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে নিহত ১১টি মৃতদেহ। তবে প্রতিবেদন পাওয়ায় ইতিমধ্যে ১০ জনের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে স্বজনদের কাছে। সবশেষ গেল বৃহস্পতিবার মাঈনুদ্দীন ও জুয়েল রানা নামে দুই ব্যক্তির পূর্ণাঙ্গ মৃতদেহ এবং আবুল হাশেম নামে এক ব্যক্তির পা হস্তান্তর করা হয় স্বজনদের কাছে। তাদের মধ্যে মাঈনুদ্দীন ট্রাকের চালক ও জুয়েল রানা ডিপোর শ্রমিক ছিলেন বলে জানান সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক। এর আগে শনাক্ত হওয়া আটজন হলেন আক্তার হোসেন, আবুল হাশেম, আব্দুল মনির, বাবুল মিয়া, সাকিব, রাসেল, শাহজাহান ও আব্দুস সোবাহান। খবর বিডিনিউজের।
পরিদর্শক সুমন বলেন, সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে ডিএনএ প্রোফাইল সম্পন্ন করে গত ৭ জুলাই আটটি লাশের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছিল। সর্বশেষ বুধবার রাতে আরও তিন জনের প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। তার মধ্যে দুটি পূর্ণাঙ্গ লাশ থাকলেও আরেকটি ছিল শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন পায়ের। তিনি বলেন, গত ৭ জুলাই হাশেমের দেহাবশেষ হস্তান্তর করা হয়েছিল। তার শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন পা পরে উদ্ধার করা হয়। পরে সেটিরও ডিএনএ প্রোফাইল করা হয়।
গত ৪ জুন রাতে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে বিএম কণ্টেনার ডিপোতে আগুন লাগার পর একের পর এক বিস্ফোরণে তা ছড়িয়ে পড়ে। ডিপোতে থাকা রাসায়নিকের কারণে ছড়িয়ে পড়া ওই আগুন ৮৬ ঘণ্টা পর বিভিন্ন বাহিনীর চেষ্টায় নেভানো হয়। ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে প্রথমে ৪১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় কয়েক জন। আর ডিপো পরিষ্কারের সময় বিভিন্ন সময়ে বেশ কিছু মানবদেহের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করা হয়।
পরিদর্শক সুমন বলেন, বিভিন্ন সময়ে মানবদেহের যেসব খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করা হয়েছিল, সেগুলোকে আমরা এক একটি লাশ হিসেবে ধরে নিয়ে ডিএনএ প্রোফাইল করতে পাঠিয়েছিলাম। সে হিসাবে মোট ২২টি লাশের ডিএনএ প্রোফাইল করা হয়েছিল। তার মধ্যে ১১টি প্রতিবেদন আমরা পেয়েছি, যেগুলোর মধ্যে দুটি প্রতিবেদন একই ব্যক্তির।