মন্দা উত্তরণে উৎপাদন বৃদ্ধিই একমাত্র বিকল্প

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী | শনিবার , ১৫ অক্টোবর, ২০২২ at ৮:২০ পূর্বাহ্ণ

৬ অক্টোবর ২০২২ সাম্প্রতিক যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফর উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘আগামী বছর হবে দুর্যোগময় ও মহাসংকটের, এমন আশঙ্কা বিশ্বজুড়েই। বিশ্ব নেতৃত্ব, যাঁদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে, তাঁরা সবাই আশঙ্কা করে বলেছেন, ২০২৩ সালে বিশ্বের জন্য একটি অত্যন্ত দুর্যোগময় সময় এগিয়ে আসছে। এমনকি বিশ্বে দুর্ভিক্ষও দেখা দিতে পারে। আপনারা জানেন আমাদের দেশ এমনিতেই দুর্যোগপ্রবণ। একদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অন্যদিকে মানুষের সৃষ্ট দুর্যোগ। এসব দুর্যোগ আমাদের মোকাবেলা করতে হয়। এসব মোকাবেলা করেও তিন মেয়াদে আমরা দেশকে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নিয়ে গেছি।’ সম্ভাব্য এই বৈশ্বিক মন্দা বা দুর্যোগ মোকাবেলায় দেশবাসীকে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আমাদের সকলের জানা চলমান করোনা অতিমারি এবং সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে পুরো বিশ্বের অর্থনীতি প্রায়ই পর্যুদস্ত। উন্নত-স্বল্পোন্নত-উন্নয়নশীলসহ সকল দেশগুলোতে উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং বৈদেশিক মুদ্রার সংকট প্রকট থেকে প্রকটতর হচ্ছে। বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনের বিপর্যস্ততায় জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উর্ধ্বমূল্যে জনজীবনে দুর্বিষহ পরিস্থিতি অতিশয় দৃশ্যমান। ফলশ্রুতিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্তৃক বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রবল আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। ৬ অক্টোবর ২০২২ গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডাব্লিউটিও) সংশোধিত বার্ষিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পাশাপাশি নানাবিধ কারণে ক্ষতিগ্রস্ত বিশ্ব অর্থনীতি। এর ফলে ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে কমবে বাণিজ্য। চলতি বছর বিশ্বে পণ্য বাণিজ্যে প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৫ শতাংশ হলেও; ২০২৩ সালে এর নাটকীয় পতন হবে। ঐ বছর প্রবৃদ্ধি হবে মাত্র ১ শতাংশ। ডাব্লিউটিওর মহাপরিচালক এনগোজি ওকোনজো-আইওয়ালা বলেন, ‘২০২৩ সালের চিত্র উল্লেখযোগ্যভাবে অন্ধকার। বর্তমান বিশ্ব অর্থনীতি বহুমুখী সংকটের মুখে। বেশির ভাগ দেশের অর্থনীতিতেই কঠোর মুদ্রানীতির প্রভাব পড়ছে। উপরন্তু জ্বালানি, খাদ্য ও সারের আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়া বিশ্বজুড়ে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার শঙ্কা আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ঋণসংকট বাড়াচ্ছে। ফলে আগামী বছর বিশ্ববাণিজ্য আরো সংকুচিত হবে।’
অতিসম্প্রতি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) ওয়েবসাইটে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান অর্থনীতিবিদদের নিয়ে পরিচালিত জরিপ ‘ইকোনমিস্ট আউটলুক’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনেও বিশ্ব মন্দার আশঙ্কা করা হয়েছে। জরিপে অংশগ্রহণকারী ৭৩ শতাংশ অর্থনীতিবিদ মনে করেন ২০২৩ সালে মন্দা হতে পারে। তাঁদের মধ্যে ৬৪ শতাংশ মন্দার আশঙ্কা এবং বাকি ৯ শতাংশ শক্তিশালী মন্দার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও প্রবৃদ্ধি কমার পাশাপাশি উচ্চ মূল্যস্ফীতিও বৈশ্বিক সংকটে রূপ নিচ্ছে এবং মজুরি হ্রাস, দারিদ্র্য বৃদ্ধি ও সামাজিক অস্থিরতার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, উত্তরদাতা অর্থনীতিবিদদের প্রতি ১০ জনের ৯ জনই বলেছেন ইউরোপের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি দুর্বল বা খুব দুর্বল হবে। চীনের ব্যাপারেও ৬৭ শতাংশ উত্তরদাতা একই ধরনের মতামত পোষণ করেছেন। তাঁদের মতে, মূলত ইউক্রেন যুদ্ধ-বিশ্বের দেশে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি-বিশ্বব্যাপী হুমকির মুখে পড়া জ্বালানি সরবরাহের কারণে বিভিন্ন দেশের প্রবৃদ্ধি কমে যাবে। উক্ত প্রতিবেদনে বিশ্বের অন্য অঞ্চলের তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ায় ২০২৩ সালে মোটামুটি মানের প্রবৃদ্ধির ব্যাপারে মত দিয়েছেন ৬৫ শতাংশ অর্থনীতিবিদ।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিশ্ব অর্থনীতি বিষয়ক ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক অক্টোবর’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় যে বিঘ্ন করোনার সময় থেকে ঘটছে, তা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর আরও বেশি প্রকট হয়েছে। এ কারণে বিশ্বব্যাপী পণ্যের সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় একদিকে দাম বেড়েছে; অন্যদিকে উৎপাদনও কম হয়েছে। পণ্যমূল্য বাড়ার ফলে প্রায় সব দেশেই মূল্যস্ফীতির হার রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে। ইউরোপ-আমেরিকায় এখন গত ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং থাইল্যান্ডেরও গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। উল্লেখ্য সংস্থার অন্য প্রতিবেদন সূত্রে, বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতির হার আরও বৃদ্ধি পাবে এবং জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার কিছুটা বাড়তে পারে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যানুসারে, চলতি বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। ২০২১ সালের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছিল যথাক্রমে ৫ দশমিক ৫৪ ও ৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ। বিপরীতে ২০২০ সালের আগস্ট মাসে ছিল ৫ দশমিক ৬৮ এবং সেপ্টেম্বরে ছিল ৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এছাড়াও ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের মূল্যস্ফীতি ৫-৬ শতাংশের ঘরেই উঠানামা করেছে। বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির হার গত এক যুগের মধ্যে হ্রাস-বৃদ্ধি হলেও; কখনো অর্থনীতিতে বড় ধরনের আঘাত পরিলক্ষিত হয়নি। বর্তমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় দেশের উচ্চ মূল্যস্ফীতির হার অনেকাংশে চ্যালেঞ্জ হিসেবে প্রতীয়মান।
ব্লুমবার্গের অর্থনৈতিক মডেল অনুসারে, ২০২৪ সালে মন্দা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ। জার্মানির ডয়েচে ব্যাংকের অথনীতিবিদদের ধারণা, মন্দা দেখা যাবে ২০২৩ সালের মাঝামাঝিতে। যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ওয়েলস ফারগো অ্যান্ড কোম্পানির ভাষ্য, মন্দা হবে ২০২৩ সালের শুরুতে এবং জাপানের আর্থিক কোম্পানি নমুরা হোল্ডিং এর বক্তব্য মন্দার প্রাদুর্ভাব হবে চলতি ২০২২ এর শেষ দিকেই। উল্লেখ্য যে, ১৯৭৪ সালে অর্থনীতিবিদ জুলিয়াস সিশকিন প্রদত্ত তত্ত্বের ভিত্তিতে, সাধারণত একটি অর্থবছরের পরপর দুই প্রান্তিক বা ছয় মাসে কোন দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে যদি নিম্নমুখী বা ঋণাত্মক ধারা অব্যাহত থাকে তখন তাকে মন্দা বলা হয়। মন্দাকালীন সময় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্পোৎপাদন ব্যাহত হয়। জনগণ চাকরি-ক্রয়ক্ষমতাচ্যুত হয়ে স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়ে। মন্দা কবলিত দেশের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের উপর ব্যাপক মনস্তাত্ত্বিক প্রভাবও পরিলক্ষিত হয়।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ পর্যালোচনায় দেখা যায়, বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রের জনসাধারণের মনেও মন্দা ভীতি প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি বিষয়ক পোর্টল ম্যাগনিফাই মানি পরিচালিত জরিপের ফলাফল অনুযায়ী ৭০ শতাংশের অধিক মার্কিন নাগরিকের ধারণা ইতিমধ্যেই অর্থনৈতিক সংকট শুরু হয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান পিডব্লিউসি’র শতাধিক মার্কিন নির্বাহী ও বোর্ড সদস্যদের উপর করা সমীক্ষা মতে, চার দশকের সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি, ঋণের উচ্চ ব্যয় যুক্তরাষ্ট্রে মন্দার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে। ব্যয় সংকোচনে গুগল, ওয়ালমার্ট, অ্যাপল, মেটা ও মাইক্রোসফটের মতো বৃহৎ প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় ৫০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান কর্মী ছাঁটাই করছে কিংবা প্রস্তুতি নিচ্ছে। এছাড়া ৫২ শতাংশ প্রতিষ্ঠান নতুন কর্মী নিয়োগ স্থগিত করেছে এবং প্রায় ৪৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠান নতুন কর্মী আকর্ষণে চালু করা বোনাস বন্ধ বা কমিয়ে আনছে। বার্তা সংস্থা সিএনএনর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৮৫৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত মার্কিন অর্থনীতিতে ৩৪ বার মন্দা দেখা দিয়েছিল। এই হিসেবে প্রতি পাঁচ বছর পর পর মন্দা দেখা দেয় এবং গড়ে এর স্থায়িত্ব হয় ১৭ মাস। বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ মন্দার কবলে পড়লে এর প্রভাব পড়বে সারা বিশ্বে। কেননা, চীনের অর্থনীতিও সঙ্কুচিত হয়ে পড়েছে। আর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ইউরোপ পড়ে আছে তীব্র জ্বালানি সঙ্কটে।
ইতিমধ্যে দেশের কৃষি উৎপাদন বাড়িয়ে খাদ্য ঘাটতি দূরীকরণ এবং দেশকে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার প্রত্যয়ে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) তথ্যের স্বীকৃতি অনুযায়ী, করোনা মহামারি অতিক্রান্তকালে দেশের অব্যাহত উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ বিশ্বে কৃষির ১১ খাতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে। বিশিষ্টজনরা এটিকে দেশের জন্য বিশাল প্রাপ্তি এবং খাদ্য নিরাপত্তায় মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কৃষি ও খ্যাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখা, চালসহ কৃষিপণ্য, প্রক্রিয়াজাত মাছ-মাংস রপ্তানিতে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ একের পর এক স্বীকৃতি পাচ্ছে। দেশের জনসংখ্যার আধিক্য এবং জলবায়ুর প্রভাবে আবাদি জমির পরিমাণ কমে যাওয়াসহ বন্যা, খরা, লবণাক্ততা ও নানান প্রাকৃতিক বৈরীতা সত্ত্বেও ধারাবাহিকভাবে ধান উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম ধান উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ প্রায় চার কোটি টন খাদ্যশস্য উৎপাদনের রেকর্ড তৈরি করেছে। শুধু উৎপাদন বৃদ্ধি নয়; হেক্টর প্রতি ধান উৎপাদনেও অধিকাংশ দেশকে ছাড়িয়ে গেছে। একই জমিতে বছরে একাধিক ফসল চাষেও বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উদাহারণ। ধানের উৎপাদন তিনগুণ বৃদ্ধির পাশাপাশি গম দ্বিগুণ, সবজি পাঁচগুণ এবং ভুট্টার উৎপাদন বেড়েছে ১০ গুণ। বিগত এক যুগে রীতিমতো দেশে ঘটে যাওয়া সবজিবিপ্লবের ফলশ্রুতিতে সবজি উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে তৃতীয়। বর্তমানে দেশে ৬৫৪ জাতের সবজি চাষের মাধ্যমে বছরে ১ কোটি ৬০ লাখ টন সবজি উৎপাদিত হচ্ছে। দেশে মাথাপিছু সবজি ভোগের পরিমাণ ৮০ গ্রাম। সবজি উৎপাদনে বিশ্বে প্রথম চীন ও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। এতসব ইতিবাচক দৃশ্যপট যাতে সংকটে নিপতিত না হয় সেদিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির অন্যতম নিয়ামক সারের পর্যাপ্ত সরবরাহের ক্ষেত্রে ন্যূনতম প্রতিবন্ধকতা সমগ্র অর্জনকে ম্লান করার সমূহ সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে- নিঃসন্দেহে তা বলা যায়।

লেখক : শিক্ষাবিদ, সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

পূর্ববর্তী নিবন্ধহল্যান্ড থেকে
পরবর্তী নিবন্ধনবপণ্ডিত বিহারে সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে