মন্ত্রিসভার ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে তো!

মোহাম্মদ ইউসুফ | বৃহস্পতিবার , ২৯ অক্টোবর, ২০২০ at ১০:৪১ পূর্বাহ্ণ

‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’। মাস্ক না পরলে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোনো সেবা মিলবে না। সব জায়গায়, সব প্রতিষ্ঠানে, হাটবাজার, শপিংমল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সামাজিক বা ধর্মীয় সম্মেলনে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।” গত ২৫ অক্টোবর মন্ত্রীসভা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শীতে করোনাভাইরাস বাড়তে পারে- এমন চিন্তা থেকে সংশ্লিষ্টদের প্রস্তুতি নিতে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে, আমাদের দেশেও তার ধাক্কা লাগতেই পারে। তাই করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে মন্ত্রীসভার এ সময়োপযোগী সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই।
প্রশ্ন হচ্ছে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারিভাবে এ পর্যন্ত যেসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, তার কতোভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে। সরকারি সিদ্ধান্ত কার্যকরের দায়িত্ব যাদের, তারা কতোটা কর্তব্যপালনে সক্রিয় ও আন্তরিক! বর্তমানে অফিস-আদালতে ঢুকলে মনে হয়, দেশে এখনো করোনাভাইরাস আছে কিন্তু অফিস থেকে বের হলে দেশে করোনা আছে বলে মনে হয় না। গণপরিবহনেও একই অবস্থা, করোনাপূর্বের মতো অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে গাড়িগুলো চলছে। সিংহভাগ মানুষের মুখে মাস্ক নেই। নেই শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার আলামত। সাধারণ মানুষ করোনাকে আমলেই নিচ্ছে না, মানছে না স্বাস্থ্যবিধি। করোনাকে তারা বড়লোকের রোগ বলে ওড়িয়ে দিচ্ছে। মাস্ক পরার সরকারি নির্দেশ আগেও ছিলো। তখনো সকলকে মাস্ক পরানো যায়নি। আবার নতুন করে সকলকে মাস্কপরানো কতোটা সম্ভব হবে- বলা যাচ্ছে না। মাস্ক পরার প্রয়োজনীয়তা নিজে থেকে অনুভব না করলে জোর করে তো আর মাস্ক পরানো যাবে না। শুধু আইনশৃঙ্খলাবাহিনী দিয়ে জনগণকে মাস্কপরানো যাবে না, সমাজের সর্বস্তরের প্রতিনিধিদের এক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি সামারি ট্রায়ালের ব্যবস্থা করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করলে জেল-জরিমানা বিশেষকরে কমপক্ষে একবছরের জেল ও ১হাজার টাকা জরিমানা করতে হবে। সর্বোপরি, আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে আগের তুলনায় আরও কঠোর হতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআস্থা
পরবর্তী নিবন্ধসৎ রাজনীতিকের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এম এ ওহাব