মজলুম মানুষের প্রেরণার প্রতীক হযরত ইমাম হোসাইন (রা.)

শাহাদাতে কারবালা মাহফিলের তৃতীয় দিনে বক্তারা

| রবিবার , ২৩ জুলাই, ২০২৩ at ৫:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ প্লাজায় আহলে বায়তে রাসূল (.) স্মরণে শাহাদাতে কারবালা মাহফিল পরিচালনা পরিষদের আয়োজনে গতকাল শনিবার তৃতীয় দিনের আলোচনায় বক্তারা বলেছেন, প্রিয় নবীর () দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসাইন (রা) চাইলে ইয়াজিদের সঙ্গে আপস করে ক্ষমতার স্বাদ নিতে পারতেন। কিন্তু ইয়াজিদি স্বৈরতন্ত্র ও গণবিরোধী অপশাসন রুখে দিয়ে জনগণ ও গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন হযরত ইমাম হোসাইন (রা)। বক্তারা বলেন, স্বৈরতন্ত্র ও জুলুমতন্ত্রের কবর রচিত হয়েছিল কারবালা ময়দানে। দ্বীনের ঝান্ডাকে বুলন্দ করে মজলুম মানুষের প্রেরণার প্রতীক হয়ে উঠেছেন হযরত ইমাম হোসাইন (রা)

গতকালের মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন শাহাদাতে কারবালা মাহফিল পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান গবেষক সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। বিদেশি আলোচক ছিলেন ড. আল্লামা শাহসূফি মুহাম্মদ এহসান ইকবাল আলকাদেরী (শ্রীলংকা)। সভাপতির বক্তব্যে সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, প্রিয় নবী () বলেছেন, আমি আমার উম্মতের জন্য দুটি প্রিয় জিনিস রেখে যাচ্ছি। একটি হচ্ছে কুরআন মজিদ, অন্যটি তাঁর সুন্নাহ বা আহলে বায়তে রাসূল ()। যারা কুরআন মজিদ এবং আহলে বায়তকে আঁকড়ে ধরবে তারাই নাজাতপ্রাপ্ত। তাদের জন্য দুনিয়া আখিরাতে কোনো ভয় ও দুঃখ নেই। ইসলামি শরিয়তে মাযহাব মানার কারণ ও গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন ঢাকা মোহাম্মদপুর কাদেরিয়া তৈয়বিয়া কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ আল্লামা আবুল কাশেম মুহাম্মদ ফজলুল হক। ইসলামের দৃষ্টিতে শাহাদাত ও শহীদের মর্যাদা নিয়ে আলোচনা করেন হালিশহর মাদ্রাসায়ে তৈয়বিয়া সুন্নিয়া ফাযিল এর অধ্যক্ষ আল্লামা মুহাম্মদ বদিউল আলম রিজভি। আলোচনা করেন ফলমন্ডি জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুহাম্মদ ইউসূফ বাহার। মাহফিলে অতিথি ছিলেন, আঞ্জুমান ট্রাস্টের সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, গাউসিয়া কমিটির চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ, অধ্যক্ষ আল্লামা রফিক উদ্দিন সিদ্দিকী, অধ্যক্ষ আল্লামা আহমদ হোসাইন আলকাদেরী। কুরআন মজিদ থেকে তেলাওয়াত করেন আন্তর্জাতিক ক্বারী আহমদ বিন ইউসূফ আল আজহারী। নাতে রাসুল () পারিবেশন করেন মুহাম্মদ তউসিফ রেজা। মাহফিল সঞ্চালনা করেন ড. জাফর উল্লাহ ও হাফেজ মাওলানা আহমদুল হক।

উপস্থিত ছিলেন মহফিলের প্রধান সমন্বয়ক পিএইচপি ফ্যামিলির পরিচালক মোহাম্মদ আলী হোসেন সোহাগ, মাহফিল পরিচালনা পর্ষদের খোরশেদুর রহমান, সিরাজুল মুস্তফা, মুহাম্মদ সাইফুদ্দিন, জাফর আহমদ সওদাগর, প্রফেসর কামাল উদ্দিন আহমদ, আব্দুল হাই মাসুম, দলশাদ আহমদ, ছাবের আহমদ চিশতী, ছালামত উল্লাহ, এস এম শফি, গাজী মুহাম্মদ ইদ্রিচ চেয়ারম্যান, মুহাম্মদ বদিউল আলম, আবু সাঈদ মুহাম্মদ হামেদ, মাহাবুবুল আলম, মনসুর সিকদার, আব্দুর রহমান, মাইনুদ্দীন মিঠু, ফরিদ মিয়া, শাহাব উদ্দিন, জহির উদ্দিন, খোরশেদ আালী চৌধুরী, নাজিব আশরাফ প্রমুখ। মিলাদ কিয়াম শেষে মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ, দেশ ও বিশ্ববাসীর শান্তি সমৃদ্ধি এবং যুদ্ধ সংঘাত হানাহনি থেকে বৈশ্বিক শান্তি কামনায় মুনাজাত করা হয়। আজ রবিবার মাহফিলে মূল বক্তব্য রাখবেন আল্লামা মুফতি গিয়াস উদ্দিন তাহেরী। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসুযোগ পেয়েও টাকার অভাবে ভর্তি অনিশ্চিত তারিকুলের
পরবর্তী নিবন্ধরাজনীতিক, কূটনীতিকদের সম্মানে তথ্যমন্ত্রীর সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা